angan_mallik_kobita

অঙ্গন মল্লিক-এর কবিতা

(১) ঠান্ডা মাংস ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে নিঃসাড় দেহটাদুটো মিছিল মুখোমুখি দাঁড়ায় –তিনটে কাক হেঁটে এসে জড়ো হয় মস্তিষ্কেশব্দ ভেঙে নোংরা ছড়িয়ে যায় তারা। তথাকথিত গান খেই হারিয়ে ফেলে,মৃতের ঘুম শহরে রাত নামায়।কুঁয়াশা ঢেকে দেয় রেললাইনের মুখমিছিল গুলো তবুও দাঁড়িয়ে থাকে। উদ্ধত আগুন আশায় বসে থাকেকারা যেন খুব নীচুগলায় বলে আরও পড়ুন…

nimai_jana_kobita

নিমাই জানার কবিতা

মৃত মানুষ অথবা নয়ন তারার ভ্রুণ মৃতেরা সমান্তরাল রোদ হলেই পাখিদের ঘুম আসেছেঁড়া বাকল আর পুরনো জামা ফেলে আসে পুরনো শহরের কোন এক প্রান্তদেশেআমি একটি অলীক মানুষকে কল্পনা করি নয়ন তারার পাজল শিরাবিন্যাসে , ভ্রুণের মতো তরল ব্রহ্মতালু আর পায়ের তলার কাদা মাটি নিয়ে পড়ে থাকে নেক্রপলিস এ শ্মশান ঘাটশ্যাওলা আরও পড়ুন…

niladri_deb_kobita

নীলাদ্রি দেব-এর কবিতা

এর সবটা কবিতা নয় এসবএমন সমস্তটার শেষেশুকনো বিদ্যুৎ ও সীমানা প্রাচীরআলোর ভেতরে আলো গেঁথে দিলেযতটা অন্ধকার প্রয়োজনচুঁইয়েবোধিগাছের পরাগ সংযোগফড়িংএর ডানায় ছায়াআমাদের আইবল মুভমেন্ট ও অন্যান্যশূন্য আস্তিনের পাশেই টিকিট, শেষ স্টেশন গল্প মাঠ সংক্ষিপ্ত হয়ে আসছেএটা বড় কথা নয়বরং মেঘ নিয়ে কথা হোকমেঘের শরীর কেটে যাবতীয় জ্যামিতিআর ম্যাজিক রঙের পৃথিবীতেসমস্ত গল্পই আরও পড়ুন…

hillol_bhattercharya_kobita

হিল্লোল ভট্টাচার্য-এর কবিতা

রঙ্গন রৌদ্র মুছে গেলে পরএখনো রঙ্গন গাছের পাতা বেয়েআবডালী বিকেল নেমে আসে—।বারান্দার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে কেমন নীলাভ নিশ্চুপচিতি সাপের মত প্রতীক্ষিত কৈশোরএঁকেবেঁকে মিশে যায়। শরীরে নিষাদ জাগেনোনা জলে হরিণীর ছবি রাত্রি দ্বিপ্রহরেনার্গিসের মত। শরনিক্ষেপের আগে ধনুকের মসৃণ ছিলাচন্দ্রাহত, অকারণ…গল্পে ভোর হয় পর্ণকুটিরে। ভুল, শুধু ভুলবালির গর্ত খুঁড়ে যে তৃষাগ্নি রূপকথা আরও পড়ুন…

Ishita_de_kobita

ঈশিতা দে সরকারের কবিতা

উত্তম পুরুষ। জন্মের দিকে হাঁটবো।গর্ভ রাস্তায় ফকিরি বিশ্রামাগার।মাটি সরিয়ে ঢুকতে গেলেদাঁড় কাক পা টানে।ছাড়ায় পৃথিবীর আঁশ।কিছুটা,হাঁটার পর ঘুম শুয়ে থাকে –একাঙ্ক নাটকের পার্ট দেয় পাহারা;জন্ম মৃত্যুর মাঝ পথে কন্ঠ রোধী ট্র‍্যাফিক।মাঝপথে অকৃতকার্যের প্রশ্নপত্র ভরা।এসব সরিয়ে হাঁটতে গিয়ে দেখি,.জন্ম আমাকে ভুলেছে বহুদিন আগেই….। বার্ষিক পরীক্ষা। শেষঅব্ধির আরো কিছু শেষ অব্ধি থাকে।পেরে আরও পড়ুন…

chandrani_goswamir_kobita

চন্দ্রানী গোস্বামীর কবিতা

(১) আদমশুমারি রোজ সন্ধ্যা হলে বিনা অভ্যর্থনায় শহরের সকলে নিজের বাড়ি ফেরে। সুখের আদমশুমারি করে দেখা গেছে ফেরার পর কপালে হাত দিয়ে ঘামের তাপমাত্রা, হৃদয়ের গোপন সুরঙ্গপথ, সদর দুয়ারে কোন চাবিতে খুলে যায় স্বপ্নে দেখা স্বপ্নপার… কিম্বা ঠোঁট আর বুকের কত্তোটা মিল হলেঘন্টার মতো বাজে শরীর-ব্রহ্ম— ইত্যকার তার গোপন খবর আরও পড়ুন…

protisrutir_aboh_theke_beriye

প্রতিশ্রুতির আবহ থেকে বেরিয়ে

উদযাপন বয়স ভারে ‘বন্ধু’ কমে আসে–আলোর মতো, দ্রুতগামী ভুলবোঝাআমায় যেদিন হাঙর খুঁজে পাবেডায়েরি লিখো–‘বিসর্জন এতটাই সোজা !’ শ্মশানবন্ধু চা খাবে৷ গোল হয়ে ধরাবে সিগারেটবছরান্তে রাতের ধাবায় গিয়েঅর্ডার ক’র বিরিয়ানি, পমফ্রেট সাঁতার সব জমিতে ধুলোবালির দাগখরিদ হয় রাতের মধ্যপ্রহর পথ ফুরোলে কী পড়ে থাকে?ছড়িয়ে থাকে ভাঙা কাঁচের দ্যুতি?ক’জন মাজে তেঁতুল দিয়ে আরও পড়ুন…

sironame_nei

শিরোনামে নেই

(১) একটাই ঘর।তিনটে জানালা, দুটো দরজা।প্রতিদিন খোলা আর বন্ধরুটিনমাফিক,যেভাবে নিঃশ্বাস আর প্রশ্বাসেপ্রতিবারতুমি ফিরে ফিরে আসো জীবনের মতো… (২) তারপর তুমি রোজকার মতোআমার বাসি কপালেঠোঁট রাখলে। ক্যামেরা থেকে অনেক দূরেএসব সহজ ছায়াছবি— আমি অ্যালার্ম বন্ধ করেআরেকটু শুয়ে থাকি… অতীত চুমুর কাছে (৩) যা লিখিতাই কবিতা ভেবে বসি। ঘুমের ভেতর একটা আস্তছাপাখানা,ঘড়ঘড় আরও পড়ুন…

krishnendu_roy_kobita

কৃষ্ণেন্দু রায়-এর কবিতা

১. সমুদ্রকালীন সময় এই যে আমরা শুয়ে আছি, তার মাঝে পড়ে আছে গোটা রাতআর কিছু তারারা স্থির এদিক, ওদিকমেঠো ইঁদুরেরা পার হয়ে যায় আলপথ।কোনো গ্রীষ্মের দিনে ঘাসফুলে ভিড় করে আসে জলফড়িঙের দল,ফেরিওয়ালা ডাক রেখে চলে যায় অনির্দিষ্ট দূর,শুধু আমাদের মধ্যে গল্পের জন্ম হয়না কোনো।উঠোনময় নিমপাতাদের চলাচল;মেঘের কিনারে জমে থাকে নাটকের আরও পড়ুন…