ঈশিতা দে সরকারের কবিতা
উত্তম পুরুষ।
জন্মের দিকে হাঁটবো।
গর্ভ রাস্তায় ফকিরি বিশ্রামাগার।
মাটি সরিয়ে ঢুকতে গেলে
দাঁড় কাক পা টানে।
ছাড়ায় পৃথিবীর আঁশ।
কিছুটা,হাঁটার পর ঘুম শুয়ে থাকে –
একাঙ্ক নাটকের পার্ট দেয় পাহারা;
জন্ম মৃত্যুর মাঝ পথে কন্ঠ রোধী ট্র্যাফিক।
মাঝপথে অকৃতকার্যের প্রশ্নপত্র ভরা।
এসব সরিয়ে হাঁটতে গিয়ে দেখি,.
জন্ম আমাকে ভুলেছে বহুদিন আগেই….।
বার্ষিক পরীক্ষা।
শেষঅব্ধির আরো কিছু শেষ অব্ধি থাকে।
পেরে উঠছি না;এর পরেও থাকে পেরে ওঠার আস্তাবল।
ঘোড়া গুলো ঝিমাচ্ছে,
মালিক বোঝাচ্ছে খয়রাতি দানাপানি।
কার্নিশ ধরে ট্র্যাপিজের খেলা,
বাউলানি সহ্যশক্তির তরকারি রাঁধে।
মাটির হাঁড়ির ব্যঞ্জন গায়-
এক শরীর গান নিয়ে
বাড়তি কিছু বিশ্বাস জোটে;
পরীক্ষা ছাড়াই…।
আদেশচরিত।
প্রয়োজন ছাড়া ফোন করা যাবে না।
এই ব্যাসবাক্য ধুয়ে অতীত গোছাই।
ওষুধের ডালপালা রাখি সেল্ফে-
দশ টাকায় চারটে প্যাটিস থেকে এখন দুটো,
মুদির দোকানে হারায় পাউরুটি লজেন্সের জার,
মফস্বল বেঁকে যায় আস্ত একটা খিদের দিকে।
আমার ও খিদে পায়।
তোকে পায়।
মহামারি দুটো আসবাব রেখেছে শেষ অব্ধি-
তোকে ছাড়া গদ্য শুকোয়,
ঠোঁট শুকোয় আহত আস্কারায়।
জীবন একটাই রে কবি,
বয়স বাড়ছে সাম্যবাদের,
আমাদের কথা বাড়ুক।
0 Comments