mastermoshai_bari_firchen

মাস্টারমশাই বাড়ি ফিরছেন

সন্ধেবেলা। বর্ষাকালের সাইকেল নিয়ে ক্যাঁচ কুঁচ করতে করতে বাড়ি থেকে বেরলেন মাস্টারমশাই। একটু এগোতেই একঘেঁয়ে নিম্নচাপ আবার শুরু করল ফিসফিসানি, অগত্যা ছাতা খুলতে হলো। বাজার পেরিয়ে বড়ো রাস্তাটা ক্রস করতেই এবার চুপ করে গেলো বৃষ্টি। শুরু হলো অলিগলি আর লোডশেডিং। এতক্ষণ খেয়াল করেননি, এবার দেখলেন শ্রাবণের মেঘময় আকাশেও পূর্ণিমার গোল আরও পড়ুন…

Maan

মান

বৃন্দাবন মাতানো বাঁশিটি পড়ে আছে ধুলোয়।মাথায় চূড়াবাঁধা নেই, ময়ূরপুচ্ছ পড়ে আছে একপাশে আর তিনি লুটিয়ে আছেন যমুনার তীরে।একটু আগে রাধাকুন্ডে মরতে গিয়েছিলেন।কুন্ড কড়া করে জানিয়ে দিয়েছে,রাধার সংগে যে ঝগড়া করেছে তার স্থান এই রাধাকুন্ডে নেই।ফিরে যান শ্রীকৃষ্ণ। মেঘের মত কালো এলোচুল, সূক্ষ্ম লাল কাপড় তার উপরে নীল শাড়ি,রক্ত পদ্মের উপরে আরও পড়ুন…

Fansh

ফাঁস

বাপের বাড়ি আসার সুযোগ পেলে কমলার মন চায় না লক্ষণদের বসতবাটির ছায়া আবার মাড়ায়।মা তখন বোঝায়— পেরথম পেরথম এক-আধটুক ঠুকাঠুকি কুথায় না হয়?বাপ তাকে বোঝায়— লক্ষ্মণটা গোবদা পাগল। তুমাকেও মানায়ে চলা লাগে।বাপ-মা দুজনেই বলতে চায় গায়ে যখন হাত দেয়নি দুশ্চিন্তার কারণ তেমন নেই। দিদির ওপর অমলার খুব রাগ। তারই মুখের আরও পড়ুন…

akhor

আখর

আমি জানি রোগটা বড়ো অদ্ভুত। আদৌ এটা রোগ কিনা তাও জানিনা যদিও। বাড়াবাড়িটা তো শুরু হলো ইদানীং। লোকের ঘেন্না হয় ক্লেদাক্ত গন্ধে, ঘেন্না হয়,কীট পতঙ্গের উপস্থিতিতে, ঘেন্না হয় বিশ্বাস ঘাতকতায় কিংবা অপরিচ্ছন্নতায়, আর আমার ঘেন্না বানান ভুলে।হ্যাঁ মশাই, ঠিকই শুনেছেন.. ভুল বানান দেখলেই আমার মাথায় কেমন রিনরিনে একটা শব্দ শুরু আরও পড়ুন…

lock_unlock

লক আনলক

দু’হাতে তিনটে ব্যাগ। একটায় চাল, একটায় মুদি, আর একটাতে কাঁচাবাজার। রমেশবাবু সাইকেল চালাতে জানেন না। হেঁটে যান, টোটোয় ফেরেন। ব্যাগভর্তি মালপত্র নিয়ে হাঁপাচ্ছেন। বাজার থেকে বেরবেন তবে তো টোটো! চায়ের দোকান দেখেই ইচ্ছে হলো। বাঙালি এই দুটো প্যাশন স্বযত্নে আগলে রেখেছে। ব্যাগ ভরে বাজার আর চায়ের দোকান। “চিনি ছাড়া লিকার।”“বিস্কুট?”“না।”আড়চোখে আরও পড়ুন…

soru_golir_bisforon

সরু গলির বিস্ফোরণ

অটো ড্রাইভার আজ ট্রাফিক ক্রস করে মার্কেটের রাস্তায় বাঁদিকে দাঁড় করিয়ে উপকার করলেন। রিক্সা ধরতে হলে মেন রোড ক্রস করা ছাড়া আর উপায় নেই। রাস্তা ক্রস করতে গিয়ে সবে এক দু’পা এগিয়েছি কি বাঁদিক থেকে আসা চলমান অটো রাস্তার জমে থাকা জলের ওপর দিকে সাঁই সাঁই করে চলে গেলেন। সমুদ্রে আরও পড়ুন…

ghor

ঘর

ঘরটা এখন ফাঁকা। ফাঁকা মানে – কেউ নেই এ ঘরে। আমি ঢুকতে না ঢুকতে মজার ঘটনা ঘটতে লাগলো। এ ঘরে আমার ঢোকার কথা ছিলোনা। এই তল্লাটে আসারই কথা ছিলোনা।আমি তো যাচ্ছিলাম কলামন্দিরে,গান শুনতে; উল্টোদিকের বাড়িটার হাঁ করা গেট দিয়ে ঢুকেই না এই বিপত্তি। সে বাড়ীর বিশাল দরদালান। তা পেরতেই আবার আরও পড়ুন…

nagordola

নাগরদোলা

কাল ক্রিসমাস। অফিস থেকে ফিরতেই রুপার্ট ছুট্টে এসে রবিনকে বলল, “ড্যাডি ড্যাডি! আমার একটা গিফট প্যাকেট এসেছে অ্যামাজন থেকে! একটা টয়, ফর মি! থ্যাঙ্কিউ ড্যাড!” রবিন ডি মেলো ঘেমো জামা খুলতে পারলে বাঁচে। তবু হাসিমুখে জুতোটা খুলতে-খুলতে সে বলল, “কী টয়? কে পাঠাল, আমি, না স্যান্টা ক্লজ?” রুপার্ট ফোকলা মুখে আরও পড়ুন…

voj

ভোজ

মিড ডে মিলের তদারকি করতে এসেছে পূর্বা রোজকার মতোই। আগে তো এই রোদঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাচ্চাগুলো খোলা মাঠেই বসে যেত খেতে। এখন পাকা ডাইনিং হল আর মাথার ওপর ফ্যান পেয়ে তারা বেজায় খুশি। ভিড়ও খুব হয় খাবার লাইনে, বিশেষ করে বুধবার। ওইদিন স্পেশাল মেনু, ডিমের ঝোল ভাত। গরম ভাত ডাল আরও পড়ুন…