ekjon_tiktiki

একজন টিকটিকি (পর্ব – ১৬)

রোদ ঝলমলে দুপুরটা দুম করে নিভিয়ে দিল কেউ। আকাশ কালো হয়ে এল।  সত্যি সত্যিই ঝড় আসছে?  বিছানা থেকে নেমে জানলার কাছে এল লিলি, যোগেনের দিকে তাকিয়ে বলল, আপনি আমার একটা উপকার করবেন? — বলুন। — আমার  টেনশন থেকে প্রচন্ডরকম মাথা ব্যথা শুরু হয়। কিছুতেই স্থির থাকতে পারি না।আলো সহ্য করতে পারি আরও পড়ুন…

ekjon_tiktiki

একজন টিকটিকি (পর্ব – ১৫)

মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু হল নিজের চেহারা।  মিথ্যে বলার সময় চেহারা বিদ্রোহ করে বসে। ভয় পেলে তা প্রকাশ করে ফেলে। গলায় খুশির ঝলক থাকলেও চেহারা ফুটে তোলে দুশ্চিন্তার ছাপ।  আবার কথা দিয়ে মানুষ যখন প্রতারণা করতে  চায়, ঠিক তখন কথা কমে যায়। একটা প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই শেষ হয় না। মিথ্যা আরও পড়ুন…

ekjon_tiktiki

একজন টিকটিকি (পর্ব – ১৪)

রাত একটা কুড়ি। টিমটিম করে জ্বলছে কম পাওয়ারের হলদে বাল্‌ব। সেই আলোর নীচে দীনবন্ধু থমথমে মুখে ঘরের মেঝেয় বসে আছেন। তিনি একা নন, তার সামনে বসে আছে যোগেন।কারও মুখে কোনও কথা নেই৷ পরপর চারদিন জগদীশের বাড়ির চারদিকে ঘুরঘুর করে বেশ কিছু খবর এনেছে যোগেন। তাতে সহজেই বোঝা যাচ্ছে জগদীশকে পুরো আরও পড়ুন…

ekjon tiktiki full 13

একজন টিকটিকি (পর্ব – ১৩)

সাধনবাবু টেবিলে পড়ে থাকা চিঠিটার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলেন! গতকাল ঠিক এমন একটা ধূসর খাম এসেছিল। খামের উপরে হাতের লেখাটাও এক। ছাপা অক্ষরের মত নিখুঁত। ঠিকানাতেও সামান্য ভুলভ্রান্তি নেই। সাধনবাবুর নামের নীচে প্রধান  শিক্ষক, হরিমতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় উল্লেখ করে দিয়েছে।  প্রথমটায় তিনি ভেবেছিলেন মামুলি চিঠি। এমন চিঠি প্রচুর আসে। আরও পড়ুন…

ekjon_tiktiki

একজন টিকটিকি (পর্ব – ১২)

তিনদিন হল যোগেন শহরে এসেছে। দীনবন্ধু কুন্দপুরে গিয়ে তাকে নিয়ে এসেছে। যোগেন শহরে আসবার জন্য ছটফট করছিল। দিনেরপর দিন দীনবন্ধুর জন্য অপেক্ষা করেছে ! কবে আসবে, কখন আসবে ভেবে কোনও কাজে যায়নি। যদি মানুষটা এসে তাকে না পেয়ে ঘুরে চলে যায়! অথচ সত্যিসত্যি যেদিন দীনবন্ধু গ্রামে তাকে নিতে এল সেদিন আরও পড়ুন…

ekjon_tiktiki__11_1

একজন টিকটিকি (পর্ব – ১১)

জগদীশ আরেকবার উঁকি দিল, দীনবন্ধু লোকটা আগের মতই মেঝেতে থেবড়ে বসে আছে। পাশে  পুরনো একটা ট্রাংক। মাঝেমধ্যে কীসব বিড়বিড় করছে!এস.আই বসাক স্যার এই আধপাগল মানুষটা থেকে সাবধানে থাকতে বলেছেন ভাবতেই জগদীশের হাসি পেল। অন্তিম আজ কাজটা করতে নিষেধ করেছিল। সে নিজেও ভেবেছিল আজ নয় আর একটা দিন বাঁচুক!   কিন্তু আরও পড়ুন…

ekjon_tiktiki__10_1

একজন টিকটিকি (পর্ব – ১০)

দীনবন্ধু বুঝলেন তিনি স্বপ্ন দেখছেন। যা হচ্ছে তা সত্যি নয়। পরক্ষণেই মন হচ্ছে সত্যি হলেও হতে পারে! জন্মের তিন- চার মাস পর থেকেই শিশুরা স্বপ্ন দেখা শুরু করে।মানুষের বয়স যত বাড়তে থাকে স্বপ্ন দেখা ততই কমতে থাকে। একসময় স্বপ্নহীন হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়। ট্রেনে চটি বই ফেরি করত আরও পড়ুন…

ekjon_tiktiki__9

একজন টিকটিকি (পর্ব – ৯)

ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুমের ভেতরে একটা খুব চেনা হাসির শব্দ শুনতে পেল লিলি।ঘুম ভাঙার পর মনে হল তার  আর কোনও অসুখ নেই। আকাশ কালো হয়ে এসেছে। ফুরফুরে ঠান্ডা বাতাস আসছে। এসব দিনে বড্ড গান শুনতে ইচ্ছে করে। এ বাড়িতে গান শুনবার মত কিছুই নেই। একটা সাদাকালো টিভি আছে তবে তার অনেক আরও পড়ুন…

ekjon_tiktiki

একজন টিকটিকি (পর্ব – ৮)

দীনবন্ধু পেছন ফিরতেই দেখলেন মেঝের এক পাশে বসে আছে তার একত্রিশ বছর সাতমাস আগের মৃত মা। মায়ারানী মন্ডল। চুপ করে বসে না থেকে হাসিহাসি মুখে বিড়বিড় করছে, এই যে আমি মাঝেমধ্যেই চলে আসি এটা ঠিক নয় তাই না রে দীনু? দীনবন্ধু জবাব না দিয়ে বারান্দার দিকে এগিয়ে গেলেন। জনতা কুকারের আরও পড়ুন…