একজন টিকটিকি (পর্ব – ৯)
ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুমের ভেতরে একটা খুব চেনা হাসির শব্দ শুনতে পেল লিলি।
ঘুম ভাঙার পর মনে হল তার আর কোনও অসুখ নেই।
আকাশ কালো হয়ে এসেছে। ফুরফুরে ঠান্ডা বাতাস আসছে। এসব দিনে বড্ড গান শুনতে ইচ্ছে করে। এ বাড়িতে গান শুনবার মত কিছুই নেই। একটা সাদাকালো টিভি আছে তবে তার অনেক সমস্যা। শুধুশুধু ছবি আসে না।এলেও দাঁড়াতে চায় না। চলতে শুরু করে।এদিক ওদিকে চড় মেরে সেটাকে থামাতে হয়। কোনও দিন থামে আবার কোনও দিন ওভাবেই চলে। খুব ভাল গানও তখন অসহ্য লাগে।
লিলি বেশ জোরের সংগে ডাকল, বাবা, বাবা।
জগদীশ বারান্দায় বসে বাসি পেপার পড়ছিল। প্রতিদিন সন্ধ্যেয় বাড়ি ফেরার সময় ‘লোকনাথ ভান্ডার’ থেকে কাগজটা চেয়ে আনে। পরদিন কাজে যাবার সময় ফেরত দেয়। বিনিময়ে সকাল আর সন্ধ্যেয় দোকান সাজানোর ও গুছিয়ে তোলার কাজ করে দেয় হাসিমুখে।
জগদীশ পেপার ছেড়ে লিলির জানলার সামনে গিয়ে দাঁড়াল, কিছু বলবি ?
— সার্থক ঘুম থেকে উঠেছে?
— হুম, অনেকক্ষণ। বই নিয়ে বসেছে। ডাকব ওকে?
— না, তুমি যাও। ওর খেয়াল রেখো । নীরুদি এলে আমি আজ একটু বারান্দায় বসব বাবা।আজ শরীরটা ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে আমার কোনও দিন কিছুই হয়নি।
কথাটুকু শুনেই জগদীশের চোখে জল চলে এল। চোখের জল আড়াল করতেই সে মুখ ঘুরিয়ে নিল।
— তুমি এখন যাও।
আবার পুরনো খবরের কাগজ মুখের সামনে মেলে ধরল জগদীশ । পুরনো কাগজ পড়ার মত আনন্দ নতুন কাগজে নেই। কাগজ যত পুরাতন হয় ততই স্বাদ বাড়ে।তত বেশি মজার হয়। একটা পাতায় কত খবর। তাতে,আনন্দ আশা, হতাশা, মৃত্যু, দূর্ঘটনা, প্রেম, প্রবঞ্চনা, চুরি, ছিনতাই,ডাকাতি, উন্নয়ন সব থাকে। থাকে আশ্বাস, থাকে প্রতিশ্রুতি, থাকে ভরসার কথা। যতদিন যায় সময় ততই সত্যের কাছে যায়। পুরনো কাগজে লেপ্টে থাকা অধিকাংশ খবর গুলো তখন মূল্যহীন হয়ে যায়।
সার্থক বইপত্র ছেড়ে উঠে আসল জগদীশের কাছে, দাদু, ওই লোকটা সেদিন আসছি বলে আর এল না কেন?
— কোন লোক?
— লজেন্স দিয়েছিল যে।সেই যে ভাল লোকটা।
—লোকটা ভাল তা তোমাকে কে বলল?
— আমি দেখেই বুঝেছি। যা বলেছি ঠিক তাই তাই করেছে। মা বলে না যারা কথা শোনে তারা ভাল হয়।
জগদীশ কাগজটা নামিয়ে বলল, এরপর এলে একদম চকলেট নেবে না। মনে থাকবে?
— মনে থাকবে কিন্তু বলতে পারব কিনা জানি না।
— আমি যেন আর না শুনি। যার তার হাত থেকে আমার বিলু দাদুভাই চকলেট নিয়েছে। কথা দাও তবে আজ চকলেট পাবে।
সার্থক গলা নামিয়ে বলল, ঠিক আছে, আর নেব না।
লিলির ডাক শোনা গেল, সার্থক, সার্থক।
সার্থক ছুটে গেল মায়ের ঘরের জানলার কাছে, ডাকছ কেন?
— আমার কাছে আয়। আয়।
— কী বলবে বলো?
— আসবি না আমার কাছে? আমার কাছে আসিস না কেন?
— এমনি।
— ভয় লাগে? সত্যি করে বল আমায় ভয় পাস?
— হুম।
— আমি ভাল হয়ে গেছি বাবা। একদম ভাল হয়ে গেছি। আয় তোকে একটু আদর করি।
— আমার পড়া বাকি আছে। যাই। পরে আসব।
লিলি অনেক কষ্টে উঠে বসল। কিছুতেই সে আয়নার দিকে তাকাবে না। কিছুতেই না। আয়নায় তাকালেই সব তালগোল পাকিয়ে যায়। এত কথা সে কাউকে বলেনি। বলতে পারেনি। বহুবার ভেবেছে আয়নাটা ভেংগে ফেলবে। পারেনি। কারণ, যাই হোক এই আয়নায় তো তার সাথে কথা টুকু বলে। প্রতিটা মানুষের বকবক করার জন্য অন্তত একজন মানুষ চাই। বহু কথা জমা হয়। না বলতে পেরে সেসব আগ্নেয় গিরির লাভার মত বেরিয়ে পড়তে চায়। হতে পারে কথা বলতে না পেরেই সে এমন হয়েছে।
জানলার বাইরে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারল না সে। মাথা ঘুরিয়ে আয়নার দিকে তাকাল। আয়নার ভেতরে বসে আছে সার্থকের বাবা। অবিনাশ কে আজ ঝকঝকে দেখাচ্ছে। চুল দাড়ি কেটে পরিস্কার জামা কাপড় পড়ে বাবু হয়ে বসে আছে। চোখে চোখ পড়তেই সে বলল, আমার কিছুই করার ছিল না লিলি। সারাক্ষণ ভাবতাম, আজ গেল, কাল কী হবে? তোমাদের বুঝতে দিইনি। আমি ভাবতাম, আমার একখানা নাম ছাড়া বলবার মত কিছু নেই।নিজেকে ডাকটিকিট ছাড়া একটা মুখবন্ধ চিঠি মনে হত।
যে চিঠির কোথাও যাবার কিচ্ছু করার ক্ষমতা নেই। তাই বিদায় নিতে হল।
লিলি চিৎকার করে উঠল, তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যেতে পারলে? বিলুকে খুব খুব ভালবাসতে! এই তোমার ভালবাসা?
— ভালবাসি তোমাদের দুজনকে। আজও। একজন হেরে যাওয়া মানুষের কাছে মৃত্যু কত বড় পাওয়া তা তুমি জান না। হতে পারে আমি একেবারে অন্যরকম।প্রত্যেকটি মানুষ আলাদা।
— তুমি একজন খারাপ মানুষ। খুব খারাপ মানুষ।আমাদের ভাসিয়ে পালিয়ে গেছ।নিজে মরেছ।আমাদেরও মারলে না কেন?
— খারাপ মানুষ খুব সহজে চেনা যায় লিলি।কিন্তু ভাল মানুষ চিনতে সারাজীবন কেটে যায়।তবু চেনা হয়ে ওঠেনা।
— তোমার মত মানুষের মুখে জ্ঞানের কথা মানায় না।
— চিৎকার করছ কেন? বিলু ভয় পাবে। ওর কথা ভেবে চুপ কর।
— একশো বার চিৎকার করব।হাজারবার চিৎকার করব। তুমি বিলুর নাম মুখে আনবে না।
সার্থক ভয়ভয় চোখে জগদীশের দিকে তাকিয়ে বলল, মা আবার চিৎকার করছে । আমার ভয় করছে দাদু।
—একদম ভয় পাবে না দাদুভাই।
—-ডাক্তার যে বলেছিল মা ভাল হয়ে যাবে!তুমি আজ আবার যাও। ওষুধ আনো। আমার জন্য আর চকলেট কিনতে হবে না।
নীরু এল। কানে মোবাইল ধরে চাপা গলায় কথা বলতে বলতে এগিয়ে গেল লিলির ঘরের দিকে। জগদীশ ডাকল, লিলির ঘরে যাবার আগে একটু শুনে যেও।
নীরু মোবাইল কানে ধরা অবস্থায় এগিয়ে এল, কী হয়েছে?
চাপা গলায় জগদীশ বলল, এত দেরি করলে কেন? আজ সকালে লিলি বেশ ভাল ছিল। এই কিছুক্ষণ আগে আবার বকবক শুরু করেছে।
নীরু মোবাইলটা কান থেকে নামিয়ে কড়া চোখে তাকিয়ে বলল, দেখুন মেসোমশাই আমাকে টাইম বোঝাতে আসবেন না। পয়সা অনুযায়ী আমার ঘড়ি চলে। রেট কম হলে ঘড়ি স্লো চলবে আবার রেট উপরে হলে বলতে হত না। আর না পোষালে মেয়ের দেখাশোনার জন্য অন্য লোক রাখুন।মনে রাখবেন নীরুর কাজের অভাব নেই।
জগদীশ গলা আরও খাদে নামিয়ে বলল, এত জোরে বোল না নীরু।মেয়েটা শুনলে কষ্ট পাবে। অসুস্থ মেয়েটার সামনে টাকা পয়সা নিয়ে আর কিছু বোল না।
নীরু আগের মত উঁচু গলায় বলল, পারডে দুশো পঞ্চাশ করে নিই।শুধু দিনের জন্য। এখানে তো শুধু একজন কে নয় বাচ্চাটাকেও দেখতে হয়। সন্ধে ছটা অব্দি ডিউটি আমি থাকি সাতটা অব্দি। এরপর আলফাল বকবেন না। এমন কাজ নিয়ে নীরু ভাবে না।
— আর ঝামেলা কোর না নীরু। আমার ভুল হয়ে গেছে।
নীরু যেন আরও উৎসাহ পেল। গলার তেজ বাড়িয়ে বলল,ঝামেলার কী দেখেছেন।সকাল সকাল নীরুকে জ্ঞান দিতে আসবেন না। বাড়তি চার পয়সা দেবার মুরোদ নাই যার তার কাছ থেকে টাইমের ভাষণ শুনবো না।ফালতু কথা আর বলবেন না বলে দিলাম!
লিলির গলা ভেসে এল, কী হয়েছে নীরুদি? কে কী বলেছে? আমার ঘরে এস। বাথরুমে যাব।
নীরু বলল, যাচ্ছি।
জগদীশ মাথানিচু করে রান্নাঘরে ঢুকল। প্রতিদিন প্রায় এক রান্না। মসুরের ডাল, আলু ভাজা আর ভাত। কোনো দিন ডিম জুটে গেলে সার্থক খুব অবাক হয়। একগ্রাস দুগ্রাস করে ভাত মুখে দেয় আর ডিমটা একপাশ থেকে আরেক পাশে রাখে। ডাল ভাত শেষ হলে ধীরেসুস্থে ডিমটা খায়। বাচ্চাটার জন্য বড্ড মন খারাপ হয় জগদীশের।
রান্না শেষ করে লিলির জন্য খাবার ঢেকে রেখে, সার্থকের স্নান খাওয়া শেষ হলে নিজে নাকেমুখে গুঁজে কাজে বেরিয়ে পড়ে জগদীশ।
গলির মাথায় গিয়ে দাঁড়ায়। পাঁচ টাকার কমল বিড়ি কিনে একটা বিড়ি জ্বালিয়ে বেশ কিছুক্ষন দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন তারপর থানার দিকে হাঁটতে থাকেন।
থানার সামনে এসে দাঁড়ান।হুট করে ঢুকে পড়া ঠিক নয়। এস. আই বসাক স্যার পইপই করে বলেছে, জগদীশ সাবধানে থাকবে। দিন পনেরো এমন কিছু করতে যাবে না যাতে রিক্স আছে। ওই টিকটিকি পকেটে নিয়ে ঘোরা লোকটা কিন্তু তোমার বাড়ি অব্দি ধাওয়া করেছিল। লোকটা সুস্থ নয়।এই কথাটা মনে রাখবে।
— তবে এই পনেরো দিন আমার চলবে কেমন করে? ঘরে অসুস্থ মেয়ে, তার। প্রতিদিন স্যার মেয়ের ওষুধ লাগে একশো আশি টাকার। আপনারা লোকটাকে ছেড়ে দিলেন কেন?
— সব তোমায় বলতে পারব না। সে অনেক বড় বিষয়। লোকটার উপরে আমরা নজর রাখছি।তোমাকে এই বিষয়ে আর জড়াতে হবে না।
— তাহলে অন্য কাজ দ্যান।কাজ না করে করে শরীরে জং ধরে গেল।
—কাটা কাপড়ের ব্যবসাটা বন্ধ রেখেছ কেন?
— বাকীতে সে ব্যবসা ডুবেছে স্যার। নতুন করে শুরু করার কথা যে ভাবি না তা নয়। আসল সমস্যা পুঁজির।
— আবার শুরু করতে ঠিক কত টাকা লাগতে পারে?
— আগে শুরু করেছিলাম এগারো হাজার আটশো টাকা দিয়ে।নাইটি, কূর্তি আর চুড়িদারের পিস্ তুলেছিলাম। মাস তিনেক ভাল চলেছিল। তারপর শুরু হল বাকীর ব্যবসা। ডুবে গেলাম।
— দু’দিন পর এস।দেখি কী করা যায়। আবার বলছি, সাবধানে থাকবে।
জগদীশ মাথা ঝাঁকিয়ে বলেছিল, ঠিক আছে স্যার। আপনার কথা মতই তো চলি। শুধু আমার একটা কাজের ব্যবস্থা যদি করে দেন তবে বেঁচে যাই।
আজ তাই বহু আশা নিয়ে থানায় আসা। বেশ কিছুক্ষণ থানার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার পর বড় গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকল। বসাক স্যার নেই।বাইরে কোথাও গেছেন।সন্ধের আগে ফেরার চান্স নেই।
মাথা নীচু করে বেরিয়ে এল জগদীশ। চারদিকে গনগনে চোখ ধাঁধানো রোদ। বিশ্বাস লণ্ড্রীর সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন।অন্তিম একমনে খবরের কাগজ মুখের সামনে এঁটে বসে আছে। কাজের ফাঁকে সে সারাদিন শব্দছক নিয়ে বসে থাকে। সে জগদীশকে খেয়াল করল না। টেবিলে স্তুপ করে রাখা কাপড়চোপড়। দেয়ালে ঝুলছে শিক ভাঙা কালিঝুলি মাখা পুরনো ক্যালেন্ডার। মাটির উনুনে কয়লার আঁচ থেকে সাদা ধোয়া ধোঁয়া ভেসে আসছে।
জগদীশ বলল, একখানা বিড়ি ছাড় তো অন্তিম।
অন্তিম কাগজ থেকে মুখ তুলে বলল, লখিন্দরের ডাকনাম জানিস? দুই ঘর। বলতে পারলে বিড়ি পাবি।
জগদীশ হাসল, জানিনা।
অন্তিম ঠোঁট উল্টে মুখ ভেংচে বলল, কানের নীচের নরম অংশকে কি বলে?
জগদীশ বিরক্ত মুখে বলল, প্রতিদিন এসব ভাট করে কী আনন্দ পাস? হাতে কাজ নেই। পাঁচশ মত ধার দিস আজকে।
অন্তিম বলল, আগের আটশো টাকা?
জগদীশ হাসল, পেয়ে যাবি এমাসেই।
অন্তিম কিছু না বলে জামার ভেতরের পকেট থেকে একতাড়া কাগজের মধ্যে লুকিয়ে রাখা একটা পাঁচশ টাকার নোট বের করে বলল, নে রাখ। লিলি কেমন আছে?
— আগের চেয়ে ভাল।
—- একটা কাজ আছে করবি?
—- কী কাজ?
অন্তিম শব্দছক থেকে মাথা তুলে ফিসফিস করে বলল, ক্যাশবাক্সের ভেতরে একটা ছবি আছে দ্যাখ। ছবির পেছনে ঠিকানা লেখা আছে। আমি কুড়ি হাজার নিয়েছি তোকে পনের দেব। কাজটা
করবি?
জগদীশ কৌতুহলে এগিয়ে গেল।ক্যাশবাক্স খুলে ঝুঁকে পড়ে হাতে তুলে নিলেন ছবিটা। মধ্যবয়সী একজন গোমড়া মুখের পুরুষ মানুষের ছবি।পেছনের ঠিকানাটা পড়ে একটু হাসলেন, কাছেই তো… টাকাটা পেলে আজই বাড়ি ফেরার সময় কাজটা করে দেব।
অন্তিমের ঠোঁটের কোনে বিদ্রুপ খেলে গেল, এত তাড়াহুড়ো করা ঠিক নয় জগা।রয়েসয়ে কাজ করতে শেখ।নয়ত তোর মত অনেক মানুষ আছে! ইস্ত্রি করার আগে মাড় দেওয়া কাপড়ে জলের ছিটে দিতে হয়।কেন জানিস?
জগদীশ বলল, এতে কাপড় নরম হয়।গরম ইস্ত্রিতে জল উবে যায়,পড়ে থাকে শক্ত টানটান কাপড়।
—ঠিক। সব কিছুর একটা ধাপ আছে। এটা ভুলে যাস না। যা আজ এখান থেকে পছন্দ মত জামা কাপড় বেছে পরে নিয়ে জলের ছিটে দিয়ে আয়। আসল কাজ কাল কিংবা পরশু হবে। আচ্ছা, চোখের নীচে একফোঁটা জল, চারঅক্ষর কী হবে রে?
— টলটল।
— বাহ্। আর দুটো এমন চট করে যদি বলে দিতে পারতিস!
সন্ধের দিকে বিশ্বাস লন্ড্রি থেকে ফুলফুল সিল্কের হাফহাতা জামা আর রংচঙা আকাশী জিন্স পরে বেরুল জগদীশ। আডভান্স পাওয়া চারহাজার টাকা এখন তার পকেটে। টাকা গুলো গুনে নেবার সময় নীরুর কথাটা কানে বেজেছিল, বাড়তি চার পয়সা দেবার যার মুরোদ নাই তার কাছ থেকে টাইমের ভাষণ শুনবো না।
হাঁটতে হাঁটতে প্রায় নির্জন একটা অন্ধকার জায়গা দেখে দাঁড়াল। তারপর ফিসফিস করে বাতাস কে বলল, নীরু বড্ড ভুল করেছ তুমি! বড় ভুল। বড় ভুলের জন্য বিরাট সমস্যা ডেকে আনলে!
মিনিট বিশেক দাঁড়ানোর পর দেখতে পেলেন নীরুকে হেঁটে আসতে। কানে ফোন। চাপা গলায় সে বকবক করতে করতে আসছে।
পাশ কাটিয়ে যাবার সময় পেছন থেকে জগদীশ বলল, ভাগ!
নীরু পেছন ফিরে দেখল, একজন মানুষ ছুরি হাতে তার দিকে ছুটে আসছে। যে কোনও সময় সে ধরা পড়ে যাবে! ভয়ে আরও দ্রুত ছুটতে লাগল।
পড়ুন, এই ধারাবাহিক উপন্যাসের আগের পর্ব।
0 Comments