ঘর

ঘরটা এখন ফাঁকা। ফাঁকা মানে – কেউ নেই এ ঘরে। আমি ঢুকতে না ঢুকতে মজার ঘটনা ঘটতে লাগলো। এ ঘরে আমার ঢোকার কথা ছিলোনা। এই তল্লাটে আসারই কথা ছিলোনা।
আমি তো যাচ্ছিলাম কলামন্দিরে,গান শুনতে; উল্টোদিকের বাড়িটার হাঁ করা গেট দিয়ে ঢুকেই না এই বিপত্তি। সে বাড়ীর বিশাল দরদালান। তা পেরতেই আবার একটা গেট। তার পরে আবার দরদালান … তার পরে লম্বা লন। তার সামনে পথ দু’ভাগ হ’য়ে গেছে। ডান দিকে দেখি বাবা দাঁড়িয়ে। পেছন ফিরে আনমনে সিগারেট খাচ্ছেন। ধরা পড়ার ভয়ে বাঁ দিকের পথধরলাম। ব্যস, ঐ রাস্তা কানাগলি তা তো আগে বুঝিনি যখন খেয়াল হোল পেছন ফিরে দেখিপুরো রাস্তাটাই গায়েব। অতঃপর এই ঘরে প্রবেশ ।
আমি না চাইতেই একজন এককাপ চা দিয়ে গেল । আরেকজন এসে বল্ল ,নাও জামা-কাপড় খুলে ফেলো; আমি তো হাঁ! বলে কী? কিন্তু আমার কথা শোনার মতো টাইম কারও ছিলোনা। আমারও যে খুব সময় ছিল তাতো নয়।
তারপর একজন এলো। দেখি ওমা এযে সুচিত্রা। আমার পরের ব্যাচে এম, এ করেছে। কথা বলতে যাব, ঈশারা করল, চুপ। একে নিঃসুতো শরীর তায় সামনে সুচিত্রা,ঘামতে লাগলাম।
সুচিত্রাও একেক করে সব খুলে ফেল্লো। আমার দম বন্ধ চোখ বন্ধ। চেতনা ফিরলো সুচিত্রার ছোঁয়ায়। ও ফিসফিস করে বোল্ল,লজ্জা পাচ্ছ? এ ভাবেই এখেলাটা খেলতে হয়।
আমি ওকে স্পর্শ করার আগেই ও বোল্ল ,উঁহু,এনট্রি ফি দাও। আমি তো অবাক। সে কী?
বললাম, আমার তো টাকা নেই।
জামা-কাপড় বুকে চেপে সুচিত্রা ছুট্টে চলে গেল ঘর থেকে।
তারপর হঠাৎ দেখি ঘরটা ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। আমার গায়ের ওপর দেয়ালগুলো চেপে বসছে। মরীয়া হ’য়ে সজোরে ধাক্কা দিলাম… দেয়াল ভেঙ্গে পড়লো।
ওমা এতো দেখছি পার্কস্ট্রিট। লোকজন নেই…গাড়িগুলো হুসহাস কোরে ছুটে যাচ্ছে । নাইটক্লাবের সামনে মাঝরাতের জটলা। পকেট থেকে শেষ সিগারেটটা বের করে সবে জ্বালতে যাব দেখি ঘ্যাঁচ করে এসে দাঁড়ালো একটা গাড়ি। দরজা খুলে এক মেয়ে জিগাসা করল,লিফট?
গাড়িতে উঠে দেখি সুচিত্রা। ও,সরে এলো কাছে,আমার গলা জড়িয়ে ধরলো..
আমি তো জড়োসড়ো…ও বোল্ল, কী হয়েছে?
আমি বোল্লাম ,আমার তো টাকা নেই।
সুচিত্রা বোল্ল,এখন আমিই তোমায় টাকা দেব।
আমি ‘থ …
0 Comments