প্রতিশ্রুতির আবহ থেকে বেরিয়ে

উদযাপন
বয়স ভারে ‘বন্ধু’ কমে আসে–
আলোর মতো, দ্রুতগামী ভুলবোঝা
আমায় যেদিন হাঙর খুঁজে পাবে
ডায়েরি লিখো–
‘বিসর্জন এতটাই সোজা !’
শ্মশানবন্ধু চা খাবে৷ গোল হয়ে ধরাবে সিগারেট
বছরান্তে রাতের ধাবায় গিয়ে
অর্ডার ক’র বিরিয়ানি, পমফ্রেট
সাঁতার
সব জমিতে ধুলোবালির দাগ
খরিদ হয় রাতের মধ্যপ্রহর
পথ ফুরোলে কী পড়ে থাকে?
ছড়িয়ে থাকে ভাঙা কাঁচের দ্যুতি?
ক’জন মাজে তেঁতুল দিয়ে থালা?
ধৈর্য এক গ্রস্ত উপত্যকা —
দমকা হাওয়ায় উঁকি দেয় চ্যুতি
তবুও তোমার দগ্ধ রাতের ঘুম,
প্রেমিক হয়ে পুড়তে থাকো যদি–
স্পৃহা তোমার অদম্য নির্ঘাত,
ডুব সাঁতারে তুখোড় স্রোতের নদী…
ডুব
এই আমি ; নীল, নিশ্চুপ কথা খুঁজে না পাওয়া
তুমি চোখের নিমেষে ভেঙে যাওয়া বালির বাঁধ
ডুবে যাওয়া নক্ষত্র কবে কোথায় জেগে ওঠে ?
বরফজমা ; শীতার্ত ; ভেতর ঘর উস্কে দেয় সাধ
হারিয়ে গেছে অনেক কিছু ;
অনেক কিছুই রয়ে গেছে কাছে…
যেদিন আমি জন্মেছি, সেদিন
আমার মৃত্যুও জন্মেছে।
0 Comments