atmik_bandhan

আত্মিক বন্ধন

আজ চৈতির বিয়ে, আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবে বাড়ি ভর্তি। সবাই ব‍্যস্ত, কারোর বসার সময় নেই, এরই মাঝে চলছে হাসি ঠাট্টা। গোধূলি লগ্নে বিয়ে, সেজন্য আরও সবাই ব‍্যস্ত হয়ে পরেছে। দুপুরেই পার্লার থেকে সাজাতে চলে এসেছে, একটু পরেই বর আসবে, লগ্ন এগিয়ে আসছে। বাড়ির কর্তী কাবেরী বন্ধ দরজার কাছে গিয়ে বললো আরও পড়ুন…

dohuakuri

দোহুয়াকুড়ি

(১) বাড়ি বদলের বারান্দায় ঝুলছেবিমাহীন মনকেমনচুপচাপ সন্ধ্যা নামা প্রতিবিম্বেরইতিহাস জানে না কেউ-ইতবু তো পার হতে দেখি চিরসকুটেরচকমকি হলুদ দিন (২) ছবি মনে পড়ে পাড়ভাঙা পরশিরকলেজ ফেরত হিমাংকের অভিমানদিকুলের দুইকূলে ঘন-সবুজ কবিতামাখাঝড়ের শব্দ প্লাবনগ্রন্থের ভেতর স্তব্ধ অলিগলিযেন এজিদ আর মেঘনাদবধ কাব্য (৩) দূরত্ব আড়াল করে পেখম তোলেনি ময়ূরশহরটা ছিল বিমর্ষপিপাসা কণ্ঠে আরও পড়ুন…

neuron

নিউরন

মনে হলো একটা চাবুক দরকার আমার। সারাদিন ফুটো চালা দিয়ে এই টুপটাপ বৃষ্টিপাত আর ভালো লাগেনা, ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমীর আদিখ্যেতাও আর ভালো লাগেনা। ক্লান্ত চাকার মত অবসাদগ্রস্ত, বসে থাকি ভিজে দেওয়ালে গা লাগিয়ে। যেন  অস্তিত্বহীনতার মধ্যে ডুবে যাচ্ছি। একদিন আড়মোড়া ছেড়ে বাবাকে বলেছিলাম একখান চাবুক চাই আমার। বাবা একটা কঞ্চির ডগায় আরও পড়ুন…

khudhar_naame_du_kotha

ক্ষুধার নামে দু’কথা

আটক যা কিছু খুলতে খুলতে তুমি আটকে গ্যালে আর তোমার চলা তাও আটকে থাকলো বিশ্বাসে অবিশ্বাসে তোমার শিরদাঁড়া দিয়ে নেমে যাওয়া আর ছড়িয়ে যাওয়া রিসেপ্টরে কেবল ক্ষুধা ক্ষুধা ক্ষুধা চলতে চাইছো না আসলে নিজেকে বয়ে নিয়ে ফেলতে চাইছো আরেকটু নরম আরেকটু কম কষ্টের কাছে যেখানে তোমার মা বসে আছে তার আরও পড়ুন…

shobdoshrot

শব্দস্রোত

সকাল ৭টা ২০: টুইইই টুইই… ট্রিপ্ ট্রিপ্… কিচ্ কিচ্… ঘুউউউ ঘুউউ… কাআআ কাআ… ট্রুরর ট্রু… আরো হরেক রকম দরবার। জানালার পাশে ব’সে প্রতীক। প্রকৃতি দেখছে। পাখিদের কিচিরমিচির কলতান শুনতে পাচ্ছে কিন্তু ওদের সবাইকে দেখতে পাচ্ছে না। বেশ কিছুদিন থেকেই শুনছে। প্রতিদিনই কমন কিছু ডাক শুনতে পায়। দু’একটা ছাড়া,বাকী পাখির ডাক আরও পড়ুন…

amra_ghore_firchi

আমরা ঘরে ফিরছি…

সারাদিন হাঁটতে হাঁটতেক্লান্ত হয়ে পড়েছি আমরাএ বেলা খাবার জোটেনি কিছুইরাত্রি জুড়ে হাজার মাইল বিছানা পাতাজলছত্র খুঁজতে গিয়ে দেখলামএকরাশ হতাশা নিয়ে কিছু না বলেচলে গেলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ

nibpithi_bhowmik_kapalik_ghum

নীপবীথি ভৌমিক-এর দুইটি কবিতা

কাপালিক প্রতিটি মৃত্যুর জন্মের ‌পাশেআমার নিজস্ব নাম লেখা আছে।হাতে‌ তুলে নিই মৃত্যু-আতর, সিঁদুর চন্দন … খুন করি নিজেকেই। নিজের রক্তেনিজস্ব স্নানে সিক্ত হই। কাপালিক কাকে বল তুমি ?নরমুণ্ড, হোম আগুনে যে রক্ত পান করে ? আমিও তো খুনি। কাপালিক আজ।মন্ত্র বেজে যায় হৃদয়ের অতলে…এসো দেবী, খুন হই এবার আমি আমারনিজস্ব আরও পড়ুন…

chokh_bisoye_du_char_kotha

চোখ বিষয়ে দু-চার কথা

দৃশ্যরা বন্দী হতে চায় সুন্দর চোখেকোমর বরাবর পাতা ঝরে যায়,সুগন্ধী মুঠোভরে দিতে আসে হাওয়া,জলের আলিঙ্গনে কোন লজ্জা থাকে না,এসব দেখলে মায়া হয় –জন্মের পর নয় –মন দিয়ে দেখতে দেখতে ক্লান্ত হলে চোখ ফোটে,চোখে পড়ে যায় এতসব…এরা বন্দী হতে চায়নইলে কিভাবে চোখে পড়ে, বলো।

chaitri_bannerjee_guchho_kobita

চৈত্রী ব্যানার্জী-র গুচ্ছ কবিতা

আরোগ্য হুইসেল এমনি প্রত্যহ আষাঢ়ের অনাবৃষ্টি বিকেলে,মেয়েটা ছুটে আসে ছাতাহীন মাথাহীন ধড়।মধ্যবর্তী স্টেশনের আরোগ্য হুইসেল শুনেবৃষ্টিলোভাতুর।ডান করতলে;হাঁপ ধরা বাম বুক চেপে ধরে তার মনে হয়হৃদয় এক মুঠোফোন; গোরিলা গ্লাস ভেঙে গেলেদেখা যায় ছোঁয়া যায়একটু আধটু আঠালো জমিন।সেই থেকে সাবধানী মেয়েসাদা থানে মুড়েছে হৃদয়;যে বুকের ভার আছেতরঙ্গে ঈথার আছেআপাতত উপলব্ধ নয়। আরও পড়ুন…