ম্যানিকুইন

সুকান্ত দাস on

maniqueen

আলো প্রসারিত হচ্ছে। আর ডানা ঝটপটানি নেই। সেও তো বলেছিল ইহা একটি ঘেয়ো হৃদয়! আমি অমঙ্গলের ইতিহাসে দাগ টেনে ঘুরে বেড়াই।স্বস্তিকা চিহ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলি। ঘষে দিই যতি দুপুরের ঘামে মেলতে থাকা অন্তর্বাস গুলো―
সে ব্যবসায়ী আমাকে চেনেনা অথচ আমার সওদা বুঝে নিল। আমার সাফল্যে পানপাত্র উঁচু করে বলেনি চিয়ার্স! ভিড় দেখলে ঝুঁকে পড়ে আর আমায় দেখলে নীলাচল পাহাড়ে মুখ লুকায় ঝটপট।

এই তো প্রেম। বুঝি সুধা ভরে আমারই গরল। আমি আত্মস্থিত হচ্ছি, আত্মীকৃত হচ্ছি। আমাকে চিনে নিচ্ছে নির্বিষ চিত্তে।কিছু তো ছিল ভ্রূ তুলবার।সংগোপন বড় হৃদয়। একটি পায়রা দিক হারিয়েছে।সে তো পকেট থেকেই বেরিয়ে যেতে চেয়েছিল। তার শাদা পালকে লেখা ছিল ফেরার। এ যেন খুঁজে খুঁজে গুপ্ত হত্যা। চোখের আদলে চোখ উপড়ে নিতে চাইছো।রাজার দেশ তোমাকে বেকার ট্যাগ দিয়েছে সে দোষ আমার নয়। আমিও ছিলাম বিক্ষোভ শিবিরে।তোমার প্রতি আমার করুণা হওয়া উচিৎ। যাও আমি করুণা-ই দেখলাম

কেমন জানি বদ্ধ দ্বীপের নাগরিক ভাবি। সেন্ট হেলেনায় যেভাবে আমার ইতিহাস চেতনা কয়েদি ছিল। সেও তো কম্পাস এঁকেছিল।বারুদঘরে অনেক চিৎকার আটকে আছে।আগুন কিভাবে পাখি হয়ে ওড়ে দেখবে?উলঙ্গ মানুষ দেখা আমার রুচিতে বাঁধে নইলে দেখতাম তোমার ভীষণ নাচ। তোমার গুরুর নাচ। প্রতিবার ফণা মেলতেই হবে এ কোথাও বলা নেই। তোমার ভালোবাসা আমাকে গোলাপ দেয়।

এবার পালাগান শেষ হবে। আলো শেষ হলে উঠে পড়বে পালাগানের নটি হরিণী।হরিণী মানেই অবাধ হরিণ‍্য ভিক্ষু।আর সংলাপ লিখতে মন চায়না। তোমাকে কমরেড বলব না, তুমি হয়তো ছোবল দেবে..


ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে মন্তব্য করুন


0 Comments

মন্তব্য করুন

Avatar placeholder

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।