অক্ষীয় লেন্স
বৈদ্যুতিক নাগোরদোলার সওয়ারী আমরা অনেকেই।ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ফকফকে আলো জ্বলে উঠছে যে গতিতে, সেই গতিতেই বেড়ে চলেছে নিচু দৃষ্টিশক্তির মানুষের সংখ্যা।
নিয়তিকে যতই দূর করি ঘর থেকে , সে ততই সন্ধেবেলা ঘরে ফিরে আসা রাজহাঁসের মতোই, ফিরে আসে ঘরে।তারও আমাদের জীবনের সঙ্গে একটা সম্পর্ক আছে।সেই সম্পর্ক নিমপাতার মতো তিতো, না রসগোল্লার মতো মিষ্টি, তা ভেবে বৃথাই সময়ের অপচয়।মোদ্দা কথাটা হল, নিয়তি আমাদের মতো এত তাড়াতাড়ি সম্পর্ক গড়তেও পারে না, আর ভাঙতেও।
একটা সরিষা দানার পাঁচ টুকরো করা সম্ভব হলে, তার একটুকরো ঠিক যেরকম মাপের হবে, ঠিক সেই মাপের অক্ষরমালার অক্ষর হাতড়াতে হাতড়াতে মশার অব্যর্থ কামড়ে আগাপাশতলায় ছুড়ে ছুড়ে মারছি পদাঘাত হস্তাঘাত।
অনেক পরে দেখি, ঘুষখোর পুলিশের মতো
মশাঅপরাধীকে না মেরে নিরীহ নিরপরাধ ভদ্র একটা জোনাকি পোকাকে পঞ্চত্ব প্রাপ্তি ঘটিয়েছি।সে শুয়ে আছে চিৎপটাং হয়ে দুর্ঘটনায় মৃত কোনো লোকের মতো বিছানার শ্মশানে।আর হাজার লোকের ভিড়ের মধ্য থেকে আমার অক্ষীয় লেন্স দিয়ে তুলছি তার মরণযন্ত্রনার ছবি।ফেসবুকে চিপকোব বলে।
ইতিহাস হয়ে রবে মুখপুস্তিকার সোনালী পাতায়।আগামী ভবিষ্যৎ সেনানী না বুঝুক এর ব্যাথা, ছবিটা থেকে কিছু অনুমান ভরে নিয়ে যাবে মানি ব্যাগে…
0 Comments