চা

সিদ্ধার্থ সিংহ on

ঠকাস করে চায়ের কাপটা টেবিলের ওপরে নামিয়ে গজ গজ করতে করতে রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে গেল রোশনি —  খালি চা, চা আর চা। উফ… একটা লোক রাখো, বুঝলে, তোমাকে চব্বিশ ঘন্টা চা বানিয়ে দেবে।

পবন কথাগুলো শুনতে শুনতে খবরের কাগজটা টেবিলের উপর রেখে কাপটা তুলে নিল। ও কিছুতেই বুঝতে পারে না, চা করায় রশ্নির এত অ্যালার্জি কেন।  অথচ এক্ষুনি বলো, দুম করে স্যান্ডউইচ বানিয়ে দেবে, এমন পকোড়া করবে মনে হবে পেট পুরে খাই। আর ওর হাতের আলুর পরোটার তো জবাব নেই।

অথচ চা-এর সময়!

পবন চা-টা একটু বেশিই খায়। সকালে বিছানা ছাড়ার আগে। তারপর মুখ ধুয়ে। খবরের কাগজে চোখ বোলাতে বোলাতে। বাজার করতে যাওয়ার আগে। বাজার থেকে এসে। এ কাজ ও কাজ করার ফাঁকে। স্নান করতে যাবার আগে। আর যেদিন অফিস ছুটি থাকে সেদিন তো কথাই নেই, ঘন্টায় ঘন্টায়। যত দিন যাচ্ছে চায়ের প্রতি পবনের আসক্তি যেন ততই বাড়ছে। আসলে পান বিড়ি তো ছোঁয় না, নেশা বলতে ওই একটাই।

আরেকটা নেশা অবশ্য আছে, সেটা হল নাটক। শখেই করে। পাড়ায় একটা দল গড়েছে। নিজেও চেষ্টা করে নাটক লেখার। সেই সুবাদে দু’-চারজন আসে। কেউ কেউ আবার ঘরের লোকই হয়ে গেছে।

তেমনি একজন শিলাজিৎদা। সে দিন শিলাজিৎদার তাড়া ছিল। দুটো কথা বলেই চলে যাবে। কিন্তু খালি মুখে যেতে দেবে কে?রোশনি? মুহূর্তে এক কাপ চা নিয়ে এসে হাজির।

— ও খাবে না? চায়ের প্লেট হাতে নিতে নিতে প্রশ্ন করল শিলাজিৎদা।

— ওই ত কাপ। এক্ষুনি খেলো। এখনও বোধহয় গলা থেকে নামেনি।

— আরে, দেবে দেবে। তুমি চুমুক মারো না…  মাঝখানে ফোড়ন কেটেছিল পবন।

— না, সত্যিই করিনি। পবনের দিকে সোজাসুজি তাকিয়ে কথাটা উচ্চারণ করেছিল রোশনি। মুহূর্তে কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিল পবন। বোকার মত একবার রোশনির দিকে একবার শিলাজিৎদার দিকে তাকাচ্ছিল।

— ঠিক আছে বৌদি, একটা কাপ নিয়ে আসুন, আমরা ভাগ করে খাই। এই বেলায় এতটা চা খাব না।

— না না, থাক। পবন বললেও শেষ পর্যন্ত ভাগাভাগি করেই দু’জনে মিলে ওই চা খেয়েছিল। কথায় কথায় সেদিন শিলাজিৎদার কাছে রোশনি অভিযোগ করেছিল পবনের এই ঘনঘন চা খাওয়া নিয়ে। — ক’দিন সামলাব বলুন তো। একটা রান্না যে ঠিকমত করব, তারও উপায় নেই। এই চা…

— বারবার করেন কেন? একেবারে বেশি করে বানিয়ে ফ্লাস্কে রেখে দেবেন। যখন দরকার হবে নিজেই ঢেলে নেবে। আপনার বৌদি তো তাই করে।

— তাতে লাভ নেই। তখন দেখবেন ঘন্টায় ঘন্টায় চা করে ফ্লাস্কে ভরতে হচ্ছে। এত চা খায়…  নিজের বুঝটাও বোঝেনা। দেখুন কত চুল পেকে গেছে…

এমন করে বলল, যেন ঘনঘন চা খাওয়ার জন্যই ওর চুল পেকে যাচ্ছে। না। শুধু শিলাজিৎদাই নয়, বিভিন্ন সময়ে আরো অনেকেই বলেছে ফ্লাস্কে চা করে রাখার কথা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! ফ্লাস্কে ও চা করে রাখবে না। আবার কয়েক বার করার পর, ফের চা করতে বললেই তার প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে আছড়ানো দাপ দাপড়ানোয়।

যেমন আজ হয়েছে। পবন মাঝে মাঝে ভাবে, সংসারে যদি একটা বাচ্চা কাচ্চা থাকতো, তাহলে হয়তো…  কিন্তু কি করা যাবে! দেখতে দেখতে বিয়ের দশ দশটা বছর কেটে গেল। তখন যদি দুম করে আলাদা না হতাম! ভাবতে ভাবতে পবন চুমুকে চুমুকে চা-টা শেষ করে তড়িঘড়ি ব্যাগটা নিয়ে বাজারের দিকে পা বাড়াল। ঠিক করল, বাজারে যাবার সময় রোশনি  যেগুলো আনার কথা ওকে রোজ বারবার করে বলে এবং যথারীতি ও ভুলে যায়, তা নিয়ে কথা শুনতে হয়, সেগুলো ও আজ আগে আগেই কিনবে। সেই মতো ডালের বড়ি, লেটুস পাতা, গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা বউদের কাছে ঘুরে ঘুরে বকফুল আর নুরুল কেনার পর বউয়ের লিখে দেওয়া ফর্দ মিলিয়ে মিলিয়ে ও বাজার শুরু করল।

ব্যাগ উপুড় করার পর রোশনি কি আর চা না করে পারবে! পাখাটা ফুল স্পিডে চালিয়ে হেলান দিয়ে চেয়ারে বসলো পবন। এমন সময় রান্নাঘর থেকে কানে এল– আর দিন পেল না, আজই নিয়ে এলো একগাদা বকফুল। এতগুলো ভাজাভুজি করেছি, থাকবে? যোগ নেই। জিজ্ঞাসা নেই, দুম করে আনলেই হল? আমার কি? আমি করে দিচ্ছি। খাও, আর মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড খাও।

পবন দেখল আবহাওয়া খারাপ। স্নান করতে চলে গেল।

অফিসের কাজটুকু তুলে দিয়ে ও সোজা চলে যায় রেক্রিয়েশন ক্লাবে। ক্লাব মানে অফিসের মধ্যেই ষোলো বাই আঠারো স্কয়ার ফিটের একটা ঘর। দেয়াল লাগোয়া দুটো আলমারি। বড় একটা ক্যারামবোর্ড। কেরামবোর্ড টা বিকেলের দিকে ছেলে-ছোকরারা খেললেও, মেঝের উপরে শতরঞ্চি বিছিয়ে প্রায় সারাক্ষণই এক দল বয়স্ক লোক তাস খেলে যায়। যাদের বাড়ি ফেরার কোনো তাড়া নেই, গেলেও হয়, না গেলেও হয়। তবে এই সময়টা কেউ থাকে না। কারণ, সবাই জানে, এটা পবনের সময়। পবন রোজ এই সময়ই যায়। আজও গেল। চারটে থেকে নাটকের রিহার্সাল। কিন্তু নায়িকার রোল টা যে করছে সে একদম আনকোরা। নতুন জয়েন করেছে অফিসে। ওর সেকশন উপরে। চারতলায়। ও তিনটের মধ্যে নেমে আসে। না, কাজে ফাঁকি দেওয়ার জন্য নয়, সত্যিই ওর পার্টটা ও ঠিকঠাক মত করতে চায়। যাতে কেউ হাসাহাসি না করে। তাই অন্য কেউ আসার আগেই পবনের কাছে খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো জেনে নেয়।

মাত্র ক’দিনের আলাপেই বেশ খোলামেলা হয়ে গেছে মেয়েটা। একই দৃশ্য নানাভাবে করার চেষ্টা করছিল সে। আর বারবার জানতে চাইছিল কোন ভাবে করলে ভালো হয়। কিন্তু ওদিকে একদম মন ছিল না পবনের মাঝে মাঝেই অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছিল। কি যেন ভাবছিল। হঠাৎ মেয়েটাকে বলল, একটা কাজ করো তো, একটা কাগজে আমাকে দুটো লাইন লিখে দাও…

— কি লিখবো?  বলেই উঠে গিয়ে দেয়াল আলমারি থেকে তাসের পয়েন্ট লেখার খাতা টা বের করল পবন। ভেতর থেকে একটা পাতা টান মেরে ছিঁড়ে, পাতাটা খাতার ওপরে রেখে মেয়েটির দিকে এগিয়ে দিল। বুক পকেট থেকে বার করে দিল পেন। তারপর বললো, চিঠির আকারে লিখবে, বুঝেছ?

— কি লিখব?মুখ তুলল মেয়েটি।

–লেখ, পবন, পরশু থিক তিনটেয়, মনে থাকে যেন। লিখে নীচে নামা আর ডেট দিয়ে দাও।

মেয়েটি লিখতে লিখতে বলল, কি করবেন এটা দিয়ে?

— লেখোই না, পরে বলব।

ঝটপট করে লিখে সেই পাতা-সহ খাতা আর কলমটা পবনের দিকে বাড়িয়ে দিল মেয়েটা, এ বার বলুন। মাথা নাড়াল পবন। আজ নয়, অন্য দিন। বলতে বলতে কাগজটা ভাঁজ করে বুক পকেটে গুঁজে রাখল।

পবনদের বাড়িতে ধোপা আসে রোববার রোববার। রোশনি  তখন হাতড়ে হাতড়ে আলনা ও ওয়ারড্রব থেকে শাড়ি, জামা, প্যান্ট টেনে টেনে নামায়। পকেটে টকেট দেখে  গুনে গুনে এগিয়ে দেয়।

সে দিন জামার পকেট দেখতে গিয়ে রশনির হাতে উঠে এলো ভাঁজ করা সেই পাতাটা। যেটা অফিসের ওই মেয়েটিকে  দিয়ে পবন লিখিয়েছিল।

একমাত্র রোববার দিনই ওরা একসঙ্গে খাবার টেবিলে বসে। এবং একনাগাড়ে বকবক করে যায় রোশনি। কিন্তু আজ পবনের কথায় হ্যাঁ, হুঁ, না — উত্তর দেওয়া ছাড়া প্রায় মুখই খুলল না সে।

রাতে বিছানায় উঠেও খুব একটা কথাবার্তা বলল না রোশনি। পবনও অনেকক্ষণ চুপচাপ ছিল। তার পর পাশ ফিরে একটা হাত টানটান করে রোশনির বুকের উপরে তুলে দিল সে।

— আবার আমার দিকে কেন? ডান হাত দিয়ে পবনের হাতটা সরাতে চাইল রোশনি।

–কি হলো?  বুকের উপর রাখা হাতটা দিয়েই রোশনিকে আলতো চেপে ঝাঁকি দিল পবন।

— কিছু না। বলে, উল্টো দিকে পাশ ফিরল রোশনি।

— কিছু না মানে? পবন নিজের দিকে জোর করে ফেরাতে চাইল ওকে।

— যাদের কাছে যাবার তাদের কাছে যাও। নড়েচড়ে শক্ত হল রোশনি।

— হ্যাঁ, সেই জন্যই তো তোমার কাছে এসেছি।

— ছাড়ো, আমি সব বুঝি। ভেবেছ, ডুবে ডুবে জল খাবে, কেউ টের পাবে না, না?

— কি বলছো ? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।

— এখন তো কিছুই বুঝতে পারবে না। কাল তিনটের সময় কোথায় যাচ্ছ?

— কোথায় ?

— কোথায়, না? সুশ্রী কে?

— সু… শ্রী…

— এখন তো চিনতে পারবে না। চিঠিটা দেখাব?

— ও… কাল তিনটেয়? তাই বলো…  হ্যাঁ, সুশ্রী, আমাদের অফিসের নতুন মেয়েটা গো… আসলে আমি ঘন ঘন চা খাই তো, তাই কাল বলছিল, সোমবার দিন আপনাকে আমি চা খাওয়াবো। দেখি, ক’কাপ খেতে পারেন। তা আমি বললাম– তুমি তো আবার চার তলায়। চা খাওয়ার জন্য অত সিঁড়ি ভাঙতে পারবো না। তখন ও বলল, ঠিক আছে, আপনি রিক্রিয়েশন ক্লাবে ঢোকার আগে ওই বিহারিটার দোকানে চলে আসুন না… ঠিক তিনটেয়, আমি থাকবো। তা আমি বললাম, যদি মনে থাকে…  তখন ও বলল, এটুকু মনে থাকবে না? রুমালে একটা গিঁট দিয়ে নিন। আচ্ছা দাঁড়ান, একটা চিরকুট লিখে দিই। তাহলে মনে থাকবে তো ? বলেই, খসখস করে ওটা লিখে দিল। কি করব? ওর সামনে তো আর ফেলা যায় না, তাই পকেটের রেখে দিয়েছিলাম। আর তুমি ভাবছো…

পবনের দিকে পাশ ফিরল রোশনি।–  না। তুমি ওর সঙ্গে চা খেতে যাবে না।

— কেন?

— না। বলেই পবনের বুকে মুখ গুঁজলো সে।

— আসলে চা-টা তো…

— আমি তোমাকে করে দেব। যখন চাইবে, যত কাপ খেতে চাইবে, আমি করে দেব। তাও তুমি ওর সঙ্গে চা খেতে যেতে পারবে না।

— ঠিক আছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলার মত করে শব্দ দুটো উচ্চারণ করল পবন। তার পর বলল, তুমি যখন বলছ…  বলতে বলতে দু’হাতে আঁকড়ে ধরল রশনিকে। পবন টের পেল, বুকের ওপর একটা দুটো জলের ফোঁটা পড়ল। সঙ্গে ঘন ঘন গরম নিঃশ্বাস। মনে হল, রোশনি এক্ষুনি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠবে।


ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে মন্তব্য করুন


সিদ্ধার্থ সিংহ

সিদ্ধার্থ সিংহ : ২০১২ সালের 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে। ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ই তাঁর প্রথম কবিতা ছাপা হয় 'দেশ' পত্রিকায়। প্রথম ছড়া 'শুকতারা'য়। প্রথম গদ্য 'আনন্দবাজার'-এ। প্রথম গল্প 'সানন্দা'য়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহল তোলপাড় হয়। মামলা হয় পাঁচ কোটি টাকার। ছোটদের জন্য যেমন সন্দেশ, আনন্দমেলা, কিশোর ভারতী, চির সবুজ লেখা, ঝালাপালা, রঙবেরং, শিশুমহল ছাড়াও বর্তমান, গণশক্তি, রবিবাসরীয় আনন্দমেলা-সহ সমস্ত দৈনিক পত্রিকার ছোটদের পাতায় লেখেন, তেমনি বড়দের জন্য লেখেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ এবং মুক্তগদ্য। 'রতিছন্দ' নামে এক নতুন ছন্দের প্রবর্তন করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুশো একচল্লিশটি। তার বেশির ভাগই অনুদিত হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়। বেস্ট সেলারেও উঠেছে সে সব। এ ছাড়া যৌথ ভাবে সম্পাদনা করেছেন লীলা মজুমদার, রমাপদ চৌধুরী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মহাশ্বেতা দেবী, শংকর, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, নবনীতা দেবসেন, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে। তাঁর লেখা নাটক বেতারে তো হয়ই, মঞ্চস্থও হয় নিয়মিত। তাঁর কাহিনি নিয়ে ছায়াছবিও হয়েছে বেশ কয়েকটি। গান তো লেখেনই। মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি বাংলা ছবিতে। তাঁর ইংরেজি এবং বাংলা কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কয়েকটি সিনেমায়। বানিয়েছেন দুটি তথ্যচিত্র। তাঁর লেখা পাঠ্য হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। ইতিমধ্যে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, সন্তোষকুমার ঘোষ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, নতুন গতি পুরস্কার, ড্রিম লাইট অ্যাওয়ার্ড, কমলকুমার মজুমদার জন্মশতবর্ষ স্মারক সম্মান, কবি সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা।

0 Comments

মন্তব্য করুন

Avatar placeholder

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।