matsorjyo

মাৎসর্য

প্রতিবেশি বাড়ি।লাল এক গাড়ি। তিনতলা ছাদ,লাল নীল হলদেটে ফুলের বাগান। এ’ বাড়ির হাল —ধ্যাদ্ধেরে স্কুটি, রঙচটা ঘর,শ্যাওলার ছোপধরা কাঠের দালান। বউটি দেখে রোজ।গুঁড়ো গুঁড়ো ব্যথা, চাপানো কান্না,ধরে রাখে বুক, চোখ টান টান… হাওয়ার মন্ত্র,ঘূর্ণিসঙ্কেত, জাদুটোনা কত,গরলে ভরেছে তার কাঁচা দুটি কান; কার্নিশে উঠেঝড় হয়ে ছোটে। ভেঙে দিয়ে টবঅতলে লাফায় তার আরও পড়ুন…

MAA UNUN

মা এবং একটি উনুন

আমাদের শৈশবে মায়ের ছিল অভাবের সংসার। শাশুড়ি ননদের সঙ্গে প্রাত্যহিক বাকবিতন্ডার পর ঘুপচি রান্নাঘরে উনুন জ্বালাতেন মা। ধোঁয়ায় জেরবার হতে হতে বিড়বিড় করে যেতেন, একা একা। আমি দেখতাম সাদা ধোঁয়ার মধ্যে একটি আবছায়া মূর্তির ক্রমাগত নড়ে যাচ্ছে ঠোঁট, আর আগুনে ভরে যাচ্ছে মাটির উনুন। ওভাবে কার সঙ্গে কথা বলো, মা? আরও পড়ুন…

hridoye rabi

হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ

সেই কবে শাল মুড়ি দিয়ে কোণে বসে ফসল কুড়োনো শুরু , তারপর জীবনের ‘সহজ পাঠ’ পেরিয়ে পা ফেলেছি কঠিন গদ্যে । দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর জীবনের হেঁটে চলা পথে অবিচ্ছেদ্য ছায়ার মত থেকে গেছে সব , অলক্ষ্যে , বুঝিনি । বুঝিনি , কখন অহংচক্ষু খুলে গিয়ে ছুটে গেছে ব্যস্ত সময় , আরও পড়ুন…

amar valo khaoar din

আমার ভাল খাওয়ার দিন

হেমন্তের এক সকাল । পাকা ধান উঠেছে বাড়িতে । ধান মাড়ানোর জন্যে চারজন লোক (কামলা ) ঠিক করেছেন ছোটমামা । তারা সকাল সকাল এসে কাজ শুরু করেছেন । তাদের এবং আমাদের সকলের খাবার জন্যে রুটি বেলছেন মাসি । আমি চুলোতে গুঁজে দিচ্ছি শুকনো লতাপাতা, ডালখড়ি । একটা ক’রে রুটি বেলে আরও পড়ুন…

vogobaner bari

“ভগবানের বাড়ি” ও দুই ভগবান

পাশের পাড়া থেকে এক দাদু আসতেন মামার বাড়ি । অন্ধ । চোখদুটোর দিকে তাকিয়ে দেখেছি , মণিদুটো সাদা । বোধ হয় ছানি পড়েছিল কোন একসময় , অপারেশন করা হয়নি । হয়তো সামর্থ্য ছিল না বলেই । কোমর সমান উঁচু একটা লাঠি নিয়ে ঠক ঠক ক’রে রাস্তা বুঝে তিনি ঘুরে বেড়াতেন আরও পড়ুন…