দুটো কবিতা
১. নবারুণ, আপনাকে
আপনাকে আমার পড়া হয় নি ঠিক করে।
আমি এটাও জানি না-
আপনি রাত জেগে কবিতা লিখতেন কি না,
সকালে বাজারে গিয়ে মাছের পেট টিপে বা দর কষাকষি মাছ কিনতেন?
কে বেশী ভালোবাসত আপনাকে?
বাবা না মা!
জ্বর হলে ওষুধ খেতেন?
কিচ্ছু জানা হয় নি আপনাকে।
তবে কবিতার উঠোনে লাঙল চষে
বীজ বুনতে দেখেছি।
আকাশ থেকে সন্ধ্যে তারা চুরি করে আনতে দেখেছি।
সেই চুরিতে দম ছিল।
সাদা পাকা দাঁড়িতে সাহস দেখেছি।
এই ইতরের দেশ আপনাকে মানায় না,
কুনা শবরের জমি আপনার জন্য ঢের ভালো।
দামামা যে বেজে গেছে-
ছাই চাপা আগুনকে ঠিকরে বের করতে
আপনি কবে আসছেন নবারুণ?
(নবারুণ ভট্টাচার্য্য-র প্রতি)
২. সংলাপ
ধোঁয়া গিলতে গিলতে
সকাল থেকে ফ্যা ফ্যা করে
এ-গলি ও-গলি ঘুরে বেড়াচ্ছি।
একমুখ গালমন্দ, খিস্তি-
পার্লামেন্টের সামনে দিয়ে ঘুরে এলাম।
রেল লাইনের কাটা পড়া দেহের প্রসঙ্গ-
টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
করতালিতে ফেটে পড়ছে-
দু’হাজার আর দু’টাকার বক্তব্য।
রোজ কুম্ভের জলে ডুব দিয়ে নামাজ সারি।
সেখান থেকে গিয়ে সারমান-কীর্তন ব্যস্ত সিডিউল।
কি ভীষন হরিধ্বনিতে ফেটে পড়ছে আমার বাড়ি।
আহা কি সুন্দর
রজনীগন্ধার গন্ধ বুকে নিয়ে শুয়ে আছি।
জাতি-
তুমি কি কখনো প্রশ্ন করেছ-
এসব স্ক্রিপ্টেড কি না?
1 Comment
গৌরাঙ্গ মণ্ডল · নভেম্বর 4, 2019 at 7:34 অপরাহ্ন
প্রচণ্ড বক্তব্যবহুল। আরও বেশি কবিতা হয়ে উঠতে পারত