ghumneitobu

ঘুম নেই তবু

এই খাঁ খাঁ দুপুরবেলা অথচ ঘুম নেই। ফুলের টব শুষে খাচ্ছে আমাকে- আমার সব টুকু। জিব্বেরেলিন নিয়ে বাড়ছি। বাবা রোজ জল দিতে এসে। বয়স বাড়ছে, তাড়াতাড়ি করো, ছাতা কিনতে হবে। মা কলপাড় পরিষ্কার করে সন্ধ্যে দেয়, আর রোজ উলু দেয়। ভাঙা গলায় উলু দেয়। সন্ধ্যে নামছে, কোতকতানি পাখি বাড়ি ফিরেছে। আরও পড়ুন…

he prem

হে প্রেম!

ধরুন আপনাকে একটা প্রেম লিখতে বলা হলো, তাহলে কি লিখবেন? আমি, তুমি, ভেজা চুল, নরম ঘাম বা দু’টো আঁধখোলা চোখের ওপর থেকে চুল সরানো। হতেও পারে, রোজ ঘন্টা খানেক ফোনের মধ্যে সারাদিনের যাবতীয় করণীয় কাজ বা দু- চারটে অভিযোগ।       তারপর দেখা হলে গলা জড়িয়ে, কপালে চুমু…..       ওমা! সেকি আরও পড়ুন…

2kobita bappa mali

দুটো কবিতা

১. নবারুণ, আপনাকে আপনাকে আমার পড়া হয় নি ঠিক করে। আমি এটাও জানি না- আপনি রাত জেগে কবিতা লিখতেন কি না, সকালে বাজারে গিয়ে মাছের পেট টিপে বা দর কষাকষি মাছ কিনতেন? কে বেশী ভালোবাসত আপনাকে? বাবা না মা! জ্বর হলে ওষুধ খেতেন? কিচ্ছু জানা হয় নি আপনাকে। তবে কবিতার আরও পড়ুন…

rumal churirdin

রুমালচুরির দিন

সেদিন প্রথম ক্লাসের দ্বিতীয় বেঞ্চের কোণায় আমি, মা তখন স্কুলের পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে এসেছিল। কান্না থামাতে দিদিমনির কাছে প্রাপ্য পঁচিশ পয়সার চকোলেট। সব আবছায়া দিন গোনে। স্লেট-পেনসিল, ভেজা ন্যাকড়া, মুহূর্তে উবে যাওয়া জলের পোকা। টিফিনের লম্বা লাইন বিড়বিড় করা ভুল “জনগণ” আবছায়ারা আজও দিন গোনে। মুখ ভার করা কুমিরের আরও পড়ুন…

voy japon

ভয় যাপন

জানালা দিয়ে সাত সমুদ্র দেখতে পাই মনে হয় দেওয়াল ফেটে ঢুকে পড়বে এক তালার ঘরে। মা’কে উনুনে ভাত রাঁধতে দেখলে ভয় হয়, অগ্নুৎপাত হবে হয়তো, নাকি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি এটা? মাতৃ মডিসিনের স্বর্গরথ, কেমন যেন কানের কাছে ডাক দেয়। আচ্ছা, আমার ডান কানে কেউ হ্যামলেট যন্ত্রনা দেবে না তো! বাবাকে যদি আরও পড়ুন…

face

উই পোকা

উইপোকা গুলি– শরীর আর চরের বালির মধ্যে কোনো পার্থক্য রাখে না। সব ঝরঝরে করে তোলে, কোড়ন বটি দিয়ে কুড়তে থাকে- সমস্ত নাভিশ্বাস। হে বালি শিল্পী- তুমি এসো! ঝরঝরে বালি দিয়ে সুন্দর মূর্তি তৈরী করো। আর কেরোসিন ছিটিয়ে দাও চারিদিকে। যাতে মূর্তি গুলোকে.. উইয়ে না ধরে।

kagojfulerpoth

কাগজফুলের পথ

সন্ধ্যে বেলা মেঘেরা যখন বাড়ি ফেরে- সারা উঠোন তখন ফুল ছড়িয়ে যায়, গোলাপী কাগজ ফুল। পায়ের চিহ্ন নিয়ে পড়ে থাকা মাটি, বুক আগলে রাখে প্রতিটি রেখার দাগ। আমি সে পথ দিয়ে ফিরতে পারি না, নাকের ডগায় গন্ধেরা- রুদ্র নৃত্য করতে থাকে। ধূপকাঠী আর রজনীগন্ধা, বারে বারে তোমার পলক মনে করায়। আরও পড়ুন…