সাথের সমুদ্র, সাতের নদী

১
শিং উঁচিয়ে যে মোষটি আসছে
তাকে মেঘ ভেবে ডেকে নাও
পোড়া শরীর ভিজুক
টুপ টাপ ঝরে পড়ার দিনে
পিচ্ছিল পথ যদি টুকটুকে লাল হয়ে উঠতে পারে
প্রতিবেশীর উঠোনে আর পড়ে থাকবে না
কোনো ভাঙা ঝুনঝুনি
২
খেলার দিনে বৃষ্টি নামলে
শহর কেন একা একা কাঁদে?
উত্তরটি চেয়েছিলাম— একশো বছর আগে
হারিয়ে যাওয়া কোনো শিশুর কাছে
তার ছোটো ছোটো লাল জুতো
পথকে বলতে পারেনি— বৃষ্টি নয়, খরার দিনেও
তোমার ভাঙা ছাতা সেলাই করুক প্রেমিক এক মুচি
৩
কাফনে রক্তের দাগ
নীচে চাপা পড়ে আছে কার ডেডবডি?
তুমি আমি পাশাপাশি। চোখ ভিজে
চোখে কি কুয়াশা না মেঘ?
কান্নার আওয়াজ নেই, শুধু পালটে নেওয়ার ইঙ্গিত
সময়কে রঙিন করে তুলছে
আর আমরাও প্রস্তুত হচ্ছি— ঘড়িটির ছায়া কতটা মৃতদেহের দিকে হেলে
তার উলটে দিকে যাওয়ার
৪
এই বুকের ফুটোতে তাকাও
দ্যাখো— একটা শুকিয়ে যাওয়া জঙ্গলে আধমরা এক বাঘ
নিজের মাংস থাবা থাবা তুলে খাচ্ছে
এ কি কাউকে আর কোনোদিন বলতে পারবে
পরো সোনার বালা, বলো উলু?
৫
গাছটি ভেঙে পড়ার আগেই
বাড়িটি ভেঙে পড়বে
এই দৃশ্য তুমি দেখতে চাও না
আমিও চাই না
অথচ, টুকরো টুকরো ইঁট শরীর থেকে খসে
পাহাড়ের মতো আমাদের উচ্চতাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে
আর তার সৌন্দর্য, আমরা ভ্রমণপিপাসুর মতো
লুফে নিচ্ছি
৬
এ কোন মাজার; দুঃখ, কাম, ক্রোধ, ঘৃণা দলে দলে আসে?
মাথা ঠুকি আমি
ধসে যায় মাটি
সাদা চাদর শরীরে পেঁচিয়ে বলি: রক্ষে করো, রক্ষে করো
কোনো বাসস্থান চাই না, কোনো আশ্রয় দাও
ওগো মাতৃ, ওগো নাড়ি
৭
সাথের সমুদ্র
সাতের নদীতে ডোবে
দরজায় ঠকঠক করে ভোরের প্রজাপতি
পায়েতে সঙ্গম রস
ডানায় মৃত্যনেশা
একটু ফুলের কাছে তার কী থাকতে পারে দাবি?
0 Comments