টুকরো টুকরো লেখা

১.
বেড়ানোর পাশে শুধু মুখোশ
আর চোখের খোলায় সবুজ
বৃষ্টির স্নান ব্রীজ পেরিয়ে যায়
ভেজার গায়ে কিছু উদোম পরাই
আর রাস্তা করুণাধারায় ক্রমশ
অসহায় এসো ডাকতে পারে না
হারমোনিয়ামে সাম্প্রদায়িকতা সুর
ঘেঁটে দিলেে আপাতত শান্তি মিছিল
২.
কথার ভাত ফুটে যে শিশু হাসি
তুলে দিল রামগড়ুদের ছানাদের চোখে আর হারিয়ে গেল অশ্রু নদীটি
রোদের শরীরে কোনো দীর্ঘশ্বাস নেই
ল্যাম্পপোস্টের সিঁড়ি নীল সাদা মেঘেদের সাথে সেলফি তুলতেই
ভাদ্রমাসের প্রসব বেদনা বেড়ে
দাবার ঘুঁটির চাল মিশে যায় আর
অনিবার্যভাবেই হঠাৎ ধারাপাত
৩.
ঘুম আর বালিশের এই সম্পর্ক কথা থেকে যেটা বেরিয়ে এল
তা একটা হঠাৎ আসা স্বপ্ন
বদলের ভেতর বাদল ঢুকে
ওলটপালট করে গেল জমে ওঠা
দুটো টিয়াকে যাদের ঠোঁটের
শরীরে অর্ধেক লাল আপেলের ট্যাটু
তারপর আঁকার ক্লাসে ফিরে যাওয়া
তুলির অনেক কিছু বলে ফেলা
আর শেষে দাঁড়িয়ে গেল ছবিটা
বাহবা দর্শক বীর্যপাতের শংসাপত্র
লিখে গেল শুধু
৪.
কোথায় দুঃখের শরীরে শুয়ে আছে মেথর পাল
রাস্তার পাতাগুলো শুকিয়ে নিয়েছে
গল্পের আউটলাইন
পাখিরা দুপুর হয়ে উঠে গেলে চিলেকোঠায়
বৃষ্টির জল জমানো সবকথা খুলে দেয়
বন্ধ দরজার ওপারে তৃপ্তি মিত্র আয়নার মূকাভিনয়ে ছড়িয়ে পড়ছে উচ্ছাস
0 Comments