তিনটি কবিতা
হাত ছুঁয়েছিল কাঁধ
পিঠের খুব কাছে এসে থেমে গেছে হাত
যে হাতগুলো কখনও ছুঁয়েছিল কাঁধ
সেই হাতগুলো দাঁড়িয়ে আছে মুখোমুখি
মেঘের মত আঁচর আঁকা অন্ধকারে
পেতে চাইছে বৃষ্টি ছোঁয়া
জমাতে চাইছে কিছু দাগের ছবি
পিঠের জমাট অন্ধকারে নিম ফলের স্বাদ নিয়ে
চোখ ফেলে রেখেছে বারান্দার কোণে
সেই চোখ থেকে নেমে আসা বরফ
ভিজিয়ে দিচ্ছে মাটি
ভিজিয়ে দিচ্ছে পাতার বসন্ত রঙ
গাছের শরীর বেয়ে নেমে আসছে বরফ
মিলিয়ে যাচ্ছে হাত বরফ স্রোতে
ভেজা ধোঁয়ার গন্ধ
খোলা মাঠের বুক চিরে লম্বালম্বি চলে গেছে হাতে টানা দোলন রেখার পথ তার গায়ে ও চারপাশে খড়ের মত ঘাস এরই ঠিক পুব দিকে মাথা ঠেলে দাঁড়িয়ে ছিল পাহাড়ের মত বাড়ি
বাড়ি বলতেই ভেসে ওঠে মুখ বাড়ি বলতেই ভেসে ওঠে ফ্রেমে রাখা অনেক ছবি
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যেতাম বাড়ি দোলন রেখা ধরে পথের পাশে দাঁড়িয়ে থাকত নরম ঘাস এখন আর মনে আসে না মনে পড়ে না পথ হারিয়ে গেছে রোদের মতো রঙে হারিয়ে গেছে সাপের চোখের অন্ধ কোণে এখানে এখন জলে ভেজা ধোঁয়ার গন্ধ মেঘের গায়ে ছেঁড়া কাঁথার সারি…
জল
নিজের হাত বিশ্বাস রাখা যায় না
নিজের পা বিশ্বাস হারাতে চায়
চেনা পথ তবুও দেখে নিতে হয় আলো জ্বেলে
যদি হাঁটতে হাঁটতে কোনোভাবে মুখ বাড়ায় জলে
জল খুব ঠান্ডা খুব পিছল হয়েছে
জল আগেও ছিল জল ভবিষ্যতেও
তবুও আজকের জল অচেনা গন্ধ বয়ে আনছে
সেই গন্ধরা টানছে তুফান টানে
তুমি এগিয়ে গিয়ে এঁকেছ বাঁধ
তবুও ভরসা আসছে কি মনে
গড়ে তোলা যাবে শক্ত প্রাচীর
যার উপর থেকে বইয়ে নেওয়া যাবে সাঁকো
আর জল ভেজাবে না বসত
0 Comments