তন্ময় ভট্টাচার্য-এর একগুচ্ছ কবিতা

রাজনীতি
রাস্তার আলো ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়লে, মনে হয়, গোয়েন্দাগিরি শুরু হল। কেন্দ্রের কোনো গোপন ফোল্ডারে জমা পড়বে রোজকার জীবন। জানলা বন্ধ করি। ঘুলঘুলিতে সিমেন্ট ঠেসে দিই। নিশ্ছিদ্র বেঁচে থাকতে থাকতে, ভীতু হয়ে উঠি আরও। রাষ্ট্র সেসব খবর রাখে না। তথ্যের ভগ্নাংশ নিয়ে সে আমায় উগ্রপন্থী ভাবে। ভাবে, এই বুঝি তর্জনী তুলে বলে উঠব আরও একটা কবিতা। রাষ্ট্র আঙুল দ্যাখে। হাতের তালুতে আরও হাত ছিল, খবর রাখে না।
একটি সুপ্রাচীন কেচ্ছা
আত্মহত্যা মহাপাপ বলিয়া যুবতী
কিঞ্চিৎ সরল পাপে রাখিয়াছে মতি
দেয়ালে হাসিয়া উঠে অলক্ষ্মীর সরা
অতলে ডুবিল কত বাণিজ্যপ্রহরা
পয়ারে বিপদ জাগে, যুবতী হাসিছে
অভিশপ্ত তরীখানি আসে পিছে পিছে
সকলি ডুবাতে চাহ? বাঁচিবে না কেহ?
যুবতীর মদনেত্রে বিস্ময় সন্দেহ
গতিপথ ভাঙে আর নদী পথ গড়ে
মশাল জ্বলিতে থাকে জৈবননগরে
শকাব্দ উনিশ চার তিন ঘর গিয়া
দ্বিজ তন্ময়ের ভাষ্যে বাতাস কাঁপিয়া
আবার অতীতে ফেরে, এই বুঝি রীতি
সওদাগরের বেশি ভাবে না যুবতী
ভারতীয় সংবিধান
বাইরে তাকালে নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয়
নির্বিকার মুখে আর রায় দেওয়া যায় না তখন
কোথাও জানালা নেই এমন এজলাস
ধীরে ধীরে প্রস্তুত, হুজুর
‘যে-কোনো ধারাই হোক
তোমাদের শাস্তি পেতে হবে’
প্রাচীন দেওয়াল ফুঁড়ে নেমে এল বৃষ্টির রেওয়াজ
0 Comments