দোলনকাল

( নিলয়-কে )
যার মরতে বসে মায়ার কথা মনে পড়ে
যত ভুলভাল আমি তোমায় তুলে দিই
আমার অসময় ফসময় বলে কিছু নেই
অলঙ্কারে চিনি
আর একটু চওড়া করে মারার মতো কয়েকটা লাইন
এইসবই আমাকে তোমার লাস্ট ডেট করে তুলেছে
নিজের হেঁটে যাওয়া পেছন থেকে
দেখতে গিয়ে
কোথায় চলে এসেছি
মধু রঙের ফলে জ্বর জ্বর ভাব
এখানে সেলাই করে সুতো ছেড়ে রাখছি মাথার ভেতর
তাকে টানার মতো ডাক্তার হবে তুমি
যার দিনকাল ইটালিক্সে
গুচ্ছ ফুলে ঢোল
ফাঁপরে পড়ে থাকছি এবং সেটাকে এতটাই মজাচ্ছি যে
তাকে বইয়ে টুকে দিলে বইটা মারাই যাবে
যে দুএকটা কায়দায় এনার্জি ছিল
জল ছিল সমতল আবর্তিত
শীত শুনলেই বেঁকে বসত প্রতিমা
তারা সব ইচ্ছে করেই রাত সারে
আর আমি ঢোঁক গিলি
যার ছেড়ে দেওয়াই চলন
বেস্টে গিয়ে গুলিয়ে যাওয়া এক রামধনুর গল্প
না পারা মদেরও
কিভাবে গাড়ি এসে মেরে দেবে আমাদের ফেরা
আর ঢেউ ধরে নিয়ে যাবে গান লেখাতে…
তখনো মিল দেওয়ায় দম আসেনি
নেশার ভেতর ঘরের পুর দেওয়া শিখতে গিয়ে কাশি ওঠে
কাশির শব্দে তীর্থ
ওঠার শব্দে জীবন
গড়পড়তা সার্ভিস
এভাবেই এক দর্শনে ঝুলে যাচ্ছে
আমি ও আমার লেখারা…
যে যার সে তার
চরিত্র রং করতে এসে সময় বসত নিলেন
মায়ের ভেতর
প্রত্যেক দু ঘর ছেড়ে তৃতীয় বন্ধনী, ধাতুর তৈরি
উপহারে সরে গেল চোখের মণি
সেই থানে সিরিয়াল জল্বা
ভুলে যাওয়া দিয়ে যে ঘুম তৈরি তাতে আমরা আড়াই ভাই
মেলাতে পারা নতুন করে শিখি
তাল কাটে, কেটে যায় তালকানা আমার
0 Comments