অমৃতপুরুষ

হে রাধেশ্যাম, দ্যাখো
মুঠো থেকে গলে যাচ্ছে চাঁদ।
জোছনায় সেঁকে নেওয়া অবসাদ
দিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছি রুটি।
চোখের কোণে জলছাপ। ভ্রুকুটি
লেপে দিয়েছে সুনিপুণ তুলি।
তবু, আঁচল জুড়ে খোয়াব আঁকছে আদিম ব্রজবুলি…
হে রাধেশ্যাম, দ্যাখো
সুতো ছিঁড়ে উড়ে যাচ্ছে ঘুড়ি।
অবাক অপার্থিব ঠোঁট, আদুরি
গলায় মোহ পেঁচিয়ে রেখে
ভেসে যাচ্ছে ভুলের নিরিখে
ক্রমশঃ– অর্বাচীন দিগন্তে।
স্থবির লোভ এসে চুপিসারে ঘর বাঁধে নির্জিত বক্ষ প্রান্তে…
হে রাধেশ্যাম, দ্যাখো
কপাল জুড়ে লেগে আছে জ্বর।
মায়া আবিল জোৎস্না-সরোবর
থেকে খুঁটে তুলে নিলে পদ্ম
দেবতার লোভাতুর জিভ–আরাধ্য
উপবাস ভুলে ছুঁয়ে দ্যায় সে পথ
যে পথে বয়ে গিয়েছে কত লোক, সহস্র জনপদ…
হে রাধেশ্যাম, দ্যাখো
মিলনে ভ্রান্তি তবু রাখো
রেকাবি জুড়ে রাখো পরিত্যাজ্য ফুল, চন্দন ;
জুঁই-গন্ধে বারংবার মূর্ছা যাক পরমপদ দেবতা
আর, জোৎস্না-পীড়িত এক ঈশ্বরী
কোনো নিদ্রা-বিমুখ প্রলম্বিত রাতে
‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়’ গাইতে গাইতে
নিজেকে বিসর্জন দিক ললিত যমুনায়…
রাধেশ্যাম, তুমি শুধু দ্যাখো
আজন্মলালিত মায়াবি চোখে তবু অমৃত পুষে রাখো…
1 Comment
Via Artiam · জুলাই 18, 2020 at 12:31 পূর্বাহ্ন
Bah… khub bhalo laaglo