হায়না

চেনা পরিচিত জঙ্গলে , চেনা গাছের পুরনো বাকলে কিংবা
অচেনা শিকড়ে আমি হায়নার পায়ের ছাপ দেখেছি।
শুকনো শালপাতার আড়ালে ভেক ধরে ওরা দাঁড়িয়ে থাকে-
যেন ঘন হয়ে দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করাতেই ওদের যাবতীয় সুখ,
সবুজ শালের পাতায় অগোছালো নির্মোহ আলোর উল্টোদিকে
ওরা কী যেন খোঁজে! সালিশি সভায় যেমন করে খোঁজা হয়
মেয়েটির দোষ!
পরে বুঝেছি পরিপূর্ণ শিকারে ওদের রুচি নেই , তাই সদলবলে
খুবলে খুঁড়ে খুঁজে নিতে চায় হৃৎপিন্ড, প্যাংক্রিয়াস, ধমনী…
হায়নার হাসি-কান্না আমি চিনে গেছি তাই আর চমকে উঠি না
পালটা হাসি দিই, অট্টহাসি… উই ঢিপি, বনবাংলোর বারান্দা,
বড় বড় ধনেশ পাখির ডানা, মায় ওয়াচ টাওয়ারটা কেঁপে ওঠে সে হাসির দমকে
যে হায়নাগুলো ওঁত পেতে ছিল তারা ফিরে যায় পাংশু মুখে, আর একদল আসে
মাস কয়েক পর, এ বাহাদুরি খেলা, মাদারি যাপন চলতেই থাকে…
0 Comments