হান্স বড় হয়ে গেছে

বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে এসেছিল নিম্নচাপ
সূর্য কদিন ওঠেনি বিছানা ছেড়ে
অতিবর্ষণে ডুবে গেল মাঠ-ঘাট ঘর-বাড়ি সব
স্পর্ধিত জল সেবার উঠে এসেছিল ডাঙাজুড়ির রেল লাইন অবধি
তোমার দুঃসাহস বড্ড বেশি
মানতেই হবে !
ঘোর বর্ষায় বুক দিয়ে বেঁধেছো, নদীর জল
বন্যা আটকাতে বাঁধের পাড় জুড়ে বসিয়েছো গাছ,
একলাই
সুযোগ পেতেই হাতের মুঠোয় বেড়ে উঠেছে চারা
বিছিয়ে দিয়েছে শিকড় তোমার হাতের তালুতে
তুমি হেসেছো, শিহরণে
আমি অবাক হয়ে দেখেছি, কিভাবে শিকড়
তোমার শরীর থেকে শুষে নিচ্ছে বাঁচার রসদ
ন্যুব্জ পিঠে বন্যাদুর্গত মানুষের হাহাকার
বুকে প্রতিরোধী জলের ধাক্কা বারংবার
তবুও জ্যোৎস্না ঠিকরে পড়েছে তোমার
চরিত্র থেকে
এসব দেখলে, সত্যি বলছি হিংসে হয়
মনে হয় আমি কয়েদি, দু পায়ে লোহার শিকল
দুহাতে শক্ত বালা
মনে হয় হয় আমার এই ঘরটা, আস্ত খাঁচা
দানা পানি দিয়ে কেউ আমাকে পুষছে হাজার বছর
আমার একজন মালিক রয়েছে নিশ্চয়
যে কেবল কারণে অকারণে সুতো নাড়ে
আমি হুমড়ি খেয়ে পড়ি অন্ধকার চৌকাঠে
মালিকের তবুও শান্তি নেই, ভাবে, এই বুঝি রাশ আলগা হলো
টান দেয় বারে বারে
বাইরে তখনও বৃষ্টি
প্রবল জলোচ্ছ্বাস ঠেলে তুমি একহাত নৌকা বাইছো
অন্যহাতে গাছটা বড় হচ্ছে
0 Comments