বৃষ্টি যখন তুমি হয়ে যায়

আজ যেন সব কিছুতে বড় তুমি তুমি ভাব
আকাশ,মেঘ, ঝড়, বৃষ্টি,সব স…..ব।
অন্যদিনের মত আজ ও ছুটিরঅলস দুপুরে
বসেছিলাম গঙ্গার ঘাটে একা
ওহো! ভুল বললাম।
তুমি আমাকে একা থাকতে দিলে তো!
না থেকেও যেন লেপ্টে থাকো সারাক্ষন।
চারিদিকে কত কোলাহল তারই মাঝে
এক গভীর নীরবতা।
মেঘের মধ্যে ভেসে উঠছে কত ছবি
হঠাৎ দেখি মেঘ গুলো ছুটে এল আমার কাছে
তোমার মত করে গলাটা জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞেস করল, “কেমন আছ তুমি?”
জানি তুমি ই পাঠিয়েছ ওদের।
উত্তর দিতে যাব এমন সময় দেখি
ধেয়ে আসছে ঝোড়ো হাওয়া।
এসেই খেলা শুরু করল
আমার লম্বা চুলগুলো নিয়ে।
যেগুলো নাকি তোমার ভীষণ প্রিয়।
নাকের কাছে চুল গুলো নিয়ে একটা লম্বা শ্বাস টানল
ঠিক তোমার মত করে
তারপরেই বড় দস্যি হয়ে উঠল সে।
টান দিতে লাগল আঁচল ধরে
জানি জানি! এ সব ই তোমার শিক্ষা।
আমি ও বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী।
লড়াই চালিয়ে গেলাম সমানে।
আমার কাছে হেরে গিয়ে সে কি গর্জন!
ভাবল ভয় পেয়ে আমি বুঝি
আত্মসমর্পন করব ওর কাছে।
আসলে ও জানেনা ভয় পেয়ে
জড়িয়ে ধরার মত কেউ নেই
এখন আমার।
তাই আমি এখন অনেক বেশি সাহসী।
মৃত্যুই বরং এখন ভয় পায় আমায়।
ভুল করেও আসেনা ধারে কাছে।
তারপর চারিদিক জুড়ে এক নিস্তব্ধতা
হঠাৎ সেই নিস্তব্ধতার বুক চীরে
নেমে এল দামাল বৃষ্টি।
আমার চুল, কপাল, নাক, ঠোঁট ছুঁয়ে
সে নামতে লাগল
আর পারলাম না আটকাতে।
হয়তো চাইনি মনে মনে।
গলা বেয়ে সে পৌঁছে গেল
সেই তিল টার কাছে
যাকে ছোঁয়ার আকন্ঠ তৃষ্ণা নিয়ে
ঝগড়া করে কথা বন্ধ করেছ কতবার।
ভিজিয়ে দিল তাকে
মনে হল, এতো তুমি!
তুমি ছাড়াই তোমার স্পর্শে কেঁপে উঠল
ফসিল হয়ে যাওয়া শরীর।
শিহরণ জাগল প্রতি রক্ত কণায়।
যেন শুকিয়ে যাওয়া একটা গাছ
আবার সতেজ হয়ে উঠল প্রথম বৃষ্টির ফোঁটায়।
1 Comment
রফিক আহমেদ · আগস্ট 19, 2018 at 3:42 অপরাহ্ন
প্রখর কল্পনাশক্তির বিস্ময় কাব্য প্রতিভার অধিকারিণী অগ্নিশিখার সম্পর্কে অল্পকথায় মন্তব্য করা কঠিন।তার অনুভূতি প্রকাশের বৈচিত্র্যময় কারুকাজ শুধু অবাক করে না হতবাক হয়ে যাই।আমি তার প্রশংশা করে থাকে থামিয়ে দিতে চাইনা কারণ তার কাছে বাংলা কাব্য ভান্ডারের আরও অনেক সৃষ্টি এখনও পাওয়া বাকি আছে।