দুটি কবিতা

আলেখ্য
প্রত্যেকবার চলে যাওয়ার পথেই
তুমি রেখে যাও জলছাপ !
তাকেই আশ্রয় ভেবে
ফিরে আসে মাছ,
হতোদ্যম পুরুষ,
পরিযায়ী কবি,
উল্কাখন্ড।
আমি উল্কার থেকে খনিজ তুলে আনি –
কবির থেকে ধার করি অক্ষর,
পুরুষের থেকে মোহ
আর সবশেষে…
মাছের থেকে
কানকো।
জলে ডুব দিয়ে লিখি বিসর্জন,
মোহাবিষ্ট হন প্রতিমা।
একরাশ যন্ত্রণা পর –
গড়ন ভাঙে ধাতু,
বিভক্তি!
যতক্ষণ নিঃশ্বাসে থাকে ধ্রুপদী সঙ্গীত
নির্মাণ করি আলেখ্য !
পাড়ে বসি, নিভৃতে,
একাকী।
রাত গাঢ় হলে, ফিরে যান কবি পৌরুষ নিয়ে,
নিয়ে যায় মাছ খনিজ লবণ,
সাগরে।
ঠিক তখনই জলছাপ দেখে দেখে…
তুমি ফিরে আসো ঘরে!
বারবার…
জননাশৌচ
হাতের ছোঁয়ায় নুয়ে পড়ে শ্যামল তরুদল,
বীজতলা ঘুরে জীমূতবাহন
মৃতদেহ আগলে রাখে সহস্রকাল –
ঝড়ের আগে সন্তানসম্ভবা মহাকাশ,
অনন্ত ক্রোধে,
প্রসব করেছিল এক অন্ধ কমল।
গর্ভে চমক থাকে… আর মরণে সন্তাপ।
সে তেজ যতই বিকলাঙ্গ হোক-
তাঁর স্নাতক চোখের জল এঁকে দেয় নদী,
গাল বেয়ে নেমে আসে কাম!
হননের দিনে,
ফিরে আসে শাম্বের অভিশাপ।
শহরে বসত করে, কিছু ধর্ষকামী লোক।
অরণ্যে আজও কাঁদে নিঃসঙ্গ সম্রাট !
বন্টন মতবাদ হলে,
কেউ নেই, কিছু নেই জনহীন প্রান্তরে..
তবে বলো আদালত –
এ কৃতজ্ঞতার সুবিচার হোক।।
0 Comments