তুঙ্গভদ্রার তীরে

চন্দ্রহাস ,
এক এক করে নামিয়ে রাখছি
আমার সমস্ত রিপু যন্ত্রনা, ধর্ম, অর্থ, মোহ
তবুও ভরা গায়ে জোয়ার খেলছে দ্যাখো!
এই মাত্র জ্বালিয়ে নিয়েছি চোখ
দ্যাখো এই আমার স্থূল শরীর
নরম জ্যোৎস্নার উঁকিঝুঁকি, তীব্র অভাবী ঘোর….
অল্প অল্প সুখ খাওয়া হলুদ পাখি কার্নিশে উঁকি দিয়ে দুঃখ লিখে উড়ে যায় মোহনার দিকে
এই সবই নামিয়ে রাখলাম….
হাওয়ায় উড়ে যায় বরফকুচি
এখানে গাছেরা নীরবতা পালনের দৃশ্যের মতো স্থির
পরিজন হারিয়ে গেলে যেমন গায়ে পায়ে ঘুম জড়িয়ে আসে
চোখের পাতায় লেগে থাকে ধানগুঁড়ো বহুকালের বেহিসেবি অভ্যাসের মতো…..
এইসব যাওয়া আসা শেষ হলে
উঠোনে পেতে রাখা মায়ায় নিবিড় হই।
মাটির দাওয়ায় লুটিয়ে থাকে শুধুই কবিতার ঘ্রাণ…..
ঘ্রাণ পাই,
নিরাশ্রয় বাউল কবির গায়ে লেপ্টে থাকা আদুর কবিতার ঘ্রাণ…
ঢুকে পড়ে অন্দরে।
ও কবি,জানো কি!
আমার ঘরে আজ আর কোনো দেওয়াল নেই।
0 Comments