ডোরাকাটা অস্থিরতা

ঠোঁট
রাস্তা অনেক। গুহার মুখে অন্ধকার !
দেশ বলতে পাকা কলার চোঁচা…
আশ্রয় তুমিই । তোমার ঠোঁটে কলম মোছা।
শুভেন্দু
শারদ রাত। কান্নাগুলো ঘাসের বুকের সাজ…
বন্দুক। জামা। ভালবাসার দাবি আঁকে ভাইটি;
কানের চড়ুইভাতি। গান গাইছে শুভেন্দু মাইতি।
ভয়
আমার সমস্ত কবিতায় ভয় —
আমাদের যাপনে পলাশীর ধূসর ছাই…
তোমাকে ভালবাসি কোন যোগ্যতা ছাড়াই।
বৃষ্টি
বৃষ্টিকে পাখনা দেবার ষড়যন্ত্রী তারা
চৈত্রের দিকে হেঁটে যাই ; হাতে ম্যান্ডোলিন;
আমি অরলান্ডো নই। তুমিও নও রোজালিন্ড।
মাঝি
কিছুই থেমে থাকে না, প্রেম কিংবা উচ্ছ্বাস…
কিছুই থেমে থাকে না, তবু কিছু থিতিয়ে যায়
ঝড়ের আছে ঝরণা এক ;মাঝি কেবল নৌকা বায়…
ক্ষুধা
ঘুরেফিরে নিভৃতে শান্ত নদীর ধারে যাই।
কাশ হাসে। তুলোর পিঠে স্বর্ণালী রোদ —
থালা হাতে ছাত্রমিছিল ক্ষুধার অবরোধ
তুমি
একটি মানুষ বই এর মতন। একটি বই মানুষের মতন
বৃষ্টির সাথি বাঙ্ময় কত ফিসফিস
ঝুরোঝুরো কুয়াশাপথে তোমাকে দেখার মজলিশ
তারা
চিলেকোঠায় আড্ডা… তারা গোনে অনেকে।
ঝগড়া যদি এক দফায়, আদর তবে দু’দফা
ঋতু শুধু রং চড়ায়। সব ঋতু বেওয়াফা…
রাত
রাতের সুরভী পানীয় হারিয়ে যায় আলপথে
বিগ্রহে জল দিই, ফুল দিই। তবু জিজ্ঞাসায় বিশ্বাস !
কমোডে বসে আছো। তোমার চারপাশে ক্যাকটাস
ঘর
স্বচ্ছ দীঘি। পদ্মপাতায় হিমের ঘর
তোমায় পাবে আমার হবে শত্রু সে
এই দেখ কবির খাতা ; হাত রেখেছি বন্দিশে
0 Comments