খোলস

তারপর একটা সূর্যোদয় চিনিয়ে দিয়ে গেলো পালকের রঙ
আবার বেছে দিলো ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মুখ,
জন্ম থেকে চিনে রাখা হাসি। দু একটা আধভাঙা দাঁত।
অথচ আমার সব সুহৃদের ঘরে ডাকাত পরে প্রতি রাতে
খসে যাওয়া পালক কাজে লাগছে না ঘর ছাওয়ার জন্য
কিন্তু মুখ ঢাকার জন্য মুখোশের বাড়বাড়ন্ত প্রতিদিন–
হুবহু মিলিয়ে নিলেও আয়নায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা অবয়ব
অদৃশ্য সবকিছু, হয়ত আমার সঙ্গে তোমার বন্ধুত্বও…
ঘন কালো দিনে বৃষ্টিতে ভেজা খুবই প্রয়োজন
সেভাবে দেখতে গেলে আগামীর প্রতিটা দিনই মেঘলা
আর আমায় ভেজাতে আসছে সেইসব দৃষ্টিহীন আদিবাসী মেয়ে-
ঘোর লেগে গেছে সুচোখে
গোধূলির মাঠে ঘুটি বেছে নিতে হলে বসতে হচ্ছে অক্ষত ঘাসে…
এখনো প্রতিচ্ছবি খুঁজতে হলে
কোনো অন্ধকার মুহূর্তই বিলিয়ে দিও না নিজের বিপরীতে
বরং প্রতিটা সূর্যাস্তের পর অজান্তে ঘরে তুলে আনো
প্রতিদিনের জমে থাকা স্তুপাকার পচনশীল খোলস…
0 Comments