শিরোনামহীন কবিতাগুচ্ছ
১.
গাঢ় শব্দের দেশ থেকে নেমে এসে দেখি
বিচ্ছিন্ন পাখির পালক
উল্টো সুরে ব্যালাড গায়
রাগ নেই অভিমান নেই। ক্ষীণ হয়ে আসা
অভিযোগে ক্ষমা জেগে ওঠে
ও আমার হারিয়ে ফেলা নাইটেঙ্গল পাখি!
গাঢ় শব্দের দেশ থেকে নেমে এসেছি
আমি ঘুমবো, আমাকে আর একটিবার
বুকে চুম্বন দিয়ে যাও প্লিজ!
২.
চাঁদের আলো ক্ষীণ নয়, সূর্য উঠলে
মানুষের ভিতর সাপ জন্ম নেয়
এইতো অসময়ের পাঠশালা। চারপাশে
অকৃতজ্ঞ আয়নার ভীড়
তবু অন্ধকারের ভিতর দিগন্তবিস্তৃত জ্যোতস্নাশিবির
আমাকে উপদেশ শোনায়
আবছা জাগরণের ভিতর মৃদু সুর বরাবর
আমি কোন গন্তব্যের দিকে ধাক্কা খেতে খেতে এগোতে থাকি?
৩.
বেঁচে আছি জৈবিক পরিচর্যাহীন
শুধু কান্না পেলে কাঁদি, হাসি পেলে হাসি
মাঝে বিস্তর হাহাকারের ভিতর কেউ
উঁকি রাখে না
কেউ সরলবর্গীয় বৃক্ষের চাওয়া
বুঝে ওঠে না
অথচ আমার জৈবিক বরফে বিশ্ব উষ্ণায়ন
ঢেলে দিয়ে তুমি
আচমকা এক সোয়ালো পাখি…
৪.
ফুরিয়ে গেলে কোনো কান্না বাকি থাকেনা
যতটুকু নদী আসে এই তুমি যাচ্ছ যাচ্ছ বেলায়
এখন কোনো মন খারাপের বেহালা নেই
এখন শুকিয়ে পড়া নৌকাবিহার নিয়ে
ভালো গল্পের বই পড়ি, প্রতিবাদী কবিতা
উচ্চারণ করি
তবে হঠাৎ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে
বুকে হাত ঘষি
একে তুমি বরং মুদ্রাদোষ ধরে নিও প্রিয়!
৫.
কি দেখে বলো, বদলে ফেলছো ভাষালিপি
হো-হো হাসির ভিতর ফুলে ওঠা বুক নেই
0 Comments