দু’দিনের প্রেম

হুসাইন হানিফ on

আমরা আপাতদৃষ্টি নিয়ে বলবো এদের প্রেম ছিল কাল্পনিক। না, এর পেছনে গূঢ় রহস্য কিছু আছে কি না তা নিয়ে আমরা ভাবিত না মোটেও। তারা একাকিত্ব ঘুচাতেই এই প্রেম- আপনারা প্রেম নাও বলতে পারেন–কথা চালাচালি করল তা নিয়েও চিন্তিত হব না। কি দরকার অন্যের কাহিনী নিয়ে মাথা ঘামানোর। আগে কাহিনী বলে নেওয়া দরকার। কাহিনী আর কি; ওই পুরোনো ঘেনরঘেনর! ছেলে মেয়ে এক জায়গায় বলতে কি কথা বলার ফুরসৎ পেলে কি করে ওটা তো আর ব্যাখ্যা করা লাগবি না! না হামি খুব খারাপ কছি, ক্যা বারে আপনারাই কন। তারা যদি জুনের পনের তারিখে প্রথম বার্তা লেনদেন করে তাতেও আমাদের কোন সমস্যা নাই। তারা দীর্ঘ দু’ মাস কথা বলে। তা বলুক। বলতেই পারে। কথা বলে না মানুষ। কত জনই তো বলে। তারাও বলবে। বলুক। তবে এদের বলাকে নিরবিচ্ছন্ন বলতে পারি না। কেন? কারণ অবশ্যই আছে। কী কারণ না জানলেও তেমন ক্ষতি নাই। মেয়ে না হয় বাড়িতে থাকে অফুরন্ত সময় পায় যখন ইচ্ছা কাজ সারতে পারে। কিন্তু ছেলেটি তো আর তা পারছে না। সে মাদরসায় পড়ে। তার ওভাবে খেয়াল খুশিমতো মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ কই। তাই সে যদি সময়সুযোগে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে; এবংকখনো সখনো কথা বলতে না পারে ; এবং কোন একদিন ওস্তাদদের স্বৈরাচারী আচরণের শিকার হয়ে ছেলেটির মোবাইল ধরা পড়ে আমরা খুব একটা অবাক হবো না। আর এরই অবকাশে মেয়েটি আরেকটি নোটন খুঁজে নেয় বা ‘আর কারে ভালবাসে আর ফিরে না আসে’ আমরা কাকে দুষবো! বলব ‘তবে তাই যেন পাও যা তুমি চাও’। না আপনারা ছেলেটির একাকিত্বে হাহাকার করে উঠবেন না। তার দরকার নেই। ও কষ্ট পেতে অভ্যস্ত। আমরা আর কথা বাড়িয়ে বলতে চাই না যে তাদের প্রেমের সংলাপ কেমন ছিল। ও আমাদের মুখস্থ। কেন আপনাদের আবার দেখতে হবে দুনিয়াজোড়া এতো এতো মশহুর প্রেমের কাহিনীর সংলাপ থাকতেও আমাদের এই প্রেম-অপ্রেমের কাহিনীর প্রেম-সংলাপ! না, যে কারণে কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম তা হল এদের এই প্রেম আগস্টের সতের তারিখে শেষ হয়। সে দিন ছিল ঈদ; তো আমার একটা কথা বলতে কেমন জানি মন চাচ্ছে; কেন চাচ্ছে, তা জানি না; এই যে পনের তারিখে শুরু হয়ে সতের তারিখে শেষ হল- থাক না মাঝে দু’ মাস- এটি দুদিনের প্রেম!

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে মন্তব্য করুন


0 Comments

মন্তব্য করুন

Avatar placeholder

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।