বিমান বসুর ভিটা

বিলাল হোসেন on

পুরাতন পুস্কুনিপারের এই জায়গাটা খুব সুনসান । আর গেরামের শ্যাষ মাথায় হওয়াতে পাবলিকও  খুব একটা আসে টাসে না । বাপ চাচাদের  মুখে শোনা কথা— কোন এককালে এই ভিটামাটি বিমান বসুর ছিল । সেবার যখন  নৌকাঅলারা জিতা গেল ইলেকশনে ,  বিজয় উৎসবের রাতে নমুদের মাইয়া খাওনের বেরা মাথায় উঠলে কয়েকজন স্থানীয় সোনার ছেলে বিমান বসুর ছুডু মাইয়ারে নিয়া পাটক্ষেতে  চইলা যায়  আর  ছেলের বউরে ঘরের  ভিত্রে ঠাকুরের সামনেই লাগাইয়া দেয় । এইসব আকামকুকামে তিস্টাতে  না পাইরা বিমান শ্যাষম্যাশ ইন্ডিয়া পলাইল ।
সেই থেইকা এই বিরাট ভিটায়  বন জঙ্গলে ভইরা গেল ।  শোনা যায়— এইখানে নাকি একখান মজ্জিদ আর হাফিজিয়া মাদ্রাসা হইব । সকাল বিকাল আল্লাপাকের কালাম দুইল্লা দুইল্লা পড়া হইব—সেই দিক বিবেচনা করলে কামডা সওয়াবেরই হইছে ।
এখন এই ভিটাটা একদম বিরান । গেরামের যত ইয়াং পুলাপান আছে— তারা এই ভিটায় আইসা তাদের  ডারলিংগো লগে ঢলাঢলি রংতামশা  চালায় । উপ্রে উপ্রে টিপাটিপিও হয় । ভিটার একটু ভিত্রে  ঘুইরা দেখা গেছে  হিরো রাজা কনডমে  ছয়লাপ। এইসব দেখলে জোয়ান মরদ পোলাগো মাথা ঠিক থাকে ?

মশিউরের মাথাও ঠিক নাই । ময়নার দেখা নাই ।

সে জোলাপাড়ার  নিজাম চাচার মাইয়া ময়নারে কইছিল— ময়না চল্ , বিমান বসুর ভিটায় যাই ।
ময়না সব জানে , সব বোঝে– তবু চুদানির ঝি না বোঝার ভান করে— ক্যান অইখানে ক্যান ? অই ভিটায় সাপখোপ  ভূত পেত্নীতে ভরা ।
:তুই যে কি কস ময়না— কিছু নাই । আমি জানি ।  চল ময়না  ।সবাই যায় অইখানে । রমেশ- দেবযানী , নীলু- বিপ্লব , রাসেল- তনিমা , চম্পাকলি- রাশেদ , মাসুদা- আয়েশা , সবাই যায় ।
:আমারে যদি  গুখখুর সাপে কামড়ায় ?
:আমি আছি না ময়না । তোরে বুকে আগলাইয়া  রাখুম । চল্ ময়না চল্ ।
:কেউ যদি দেইখা  ফালায় ?
:কেউ দেখব না ময়না  ।আর দেখলেই বা কি— আমি ত তোরে  বিয়া করুম । চল্ ।
:আমার ডর লাগে ।
:ধুর ডর কিয়ের—আমি আছি না । আমি মেম্বরের পোলা । চল্
:আইচ্ছা যাও যামু ।সবাই যখন  ভাতঘুম দিব— তখন ।

দুপুর গড়াইয়া এখন সাঁঝ  হইতে চলল  জোলার বেটি এখনও আসার নাম নাই । আর কতবার ফাঁকি দিবি তুই ? মশিউর দাঁত কিড়মিড় করতে থাকে । এরপর মাগীটারে যেখানে পাইব সেখানেই চিত কইরা শোয়াইব—এমন একটা প্রতিজ্ঞা করে মশিউর—আমিও মেম্বরের  পোলা ।
সে  পকেট  থেইকা  হিরো কনডমের প্যাকেট দুইটা  লজ্জাবতী ঝোপের মধ্যে ছুইড়া ফ্যালে । আর  তখনি নজরে পড়ল একটা বাদামি গরু জাবর কাটতে কাটতে ভিটার কাছে আইসা পড়ছে । গরুর  চোখ দুইটা কী সোন্দর !
ময়নার উঁচা দুধ আর ফোলা পাছা কল্পনা করতে করতে  ১৫ বছরের মশিউর  গরুটার দিকে পা বাড়ায় ।

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে মন্তব্য করুন


0 Comments

মন্তব্য করুন

Avatar placeholder

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।