bismilla

বিসমিল্লা

আজ কেদারঘাটে বেশ ভোরেই এসে বসেছেন বৃদ্ধটি। উদিত সূর্য মুখটি বার করার আগেই জীর্ণ শিরা ওঠা কাঁপা কাঁপা হাতে ঝোলা থেকে অতিপ্রিয় কেউটে সানাইটিকে বের করেন। পাত্তুরে ওষ্ঠচুম্বন করে শুরু করেন রেওয়াজ। আহীর ভৈঁরো টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে যায় কাশীর প্রত্যন্ত গলি থেকে বুরুজে, অপার গঙ্গার জলে তিরতিরে কাঁপন লাগে আরও পড়ুন…

dutikobita

দুটি কবিতা

আমারই ভারতবর্ষ আজ সভ্যতার একটা সকাল আজ সভ্যতার একটা দিন আমি কি বেঁচে আছি ? আমরা কি বেঁচে আছি ? নিরুত্তর একাকী নিজের কুয়াশায় নিজেই অস্পষ্ট চেয়ে আছি ওরা কাঁদছে , কান্নার শব্দ মুহুর্মুহু বন্দুকের নল ঘুরে আছে এইদিকে এখন রক্তেভেজা আর্তনাদ গড়ে আসছে এদিকেই ধর্ম না ঘাতক ? কী আরও পড়ুন…

masterpiece

মাস্টারপিস

“ আর কতক্ষণ এভাবে বাঁদরের মতো গাছের ডালে লটকে থাকতে হবে, ও নির্মলদা ? কাঠ পিঁপড়ে কামড়াচ্ছে মাইরি সেই কখন থেকে !” নীচের ডাল থেকে ঝাঁঝিয়ে উঠলো নির্মলদা, “ থাম না রে শুয়ার, তোরা আজকালকার ছেলেপেলে একটুতেই কেলিয়ে পড়িস কেন বে ! শালা ভিডিওগুলার থেকে মাল্লু কামানো কী অতই সোজা! আরও পড়ুন…

eisomoye

এই অসময়ে

নীল ফ্রীল দেওয়া রেডি টু ওয়ার শাড়িটার ডানদিকে কোমরের কাছে ঢাকনা দেওয়া পকেট। বুটিকের মেয়েটা হেসে হেসে বলছে এখন মানি পার্স কি মোবাইল যা ইচ্ছে রাখা যাবে। পেছন থেকে এক বয়স্ক বললেন কত সুবিধা হয়েছে মহিলাদের। হাতের মুঠোয় সব সুবিধা।অজান্তেই ঠোঁটের কোনটা বেঁকে গেল ঈপ্সার।সকাল পৌনে ছটার এলার্ম বাজার সঙ্গে আরও পড়ুন…

poshak

পোষাক

উল্লাহা,উল্লা…. এইসব শব্দের কি মানে হতে পারে? কিন্তু শিশুর মুখের শব্দ তো! তারওপর উল্লাহা,উল্লা বলে কেঁদেই চলেছে। প্রতিবেশি হিসেবে আমার কিই বা করার আছে, একথা ভাবলেও একটি শিশুর না থামা কান্নাকাটি জুড়ে বাঙালির মনের মনিকোঠায় একটিই ডাক ভেসে আসে। আর সেটি হোলো ‘মা’। দরজায় ঠোকা দিলাম। দরজা খুলতে কেউই আসলো আরও পড়ুন…

baan

বান

-ও মিঁঞা দেহেন না ছাগল দুইটা ডাকতাসে ক্যান? ও মিঁঞা। মানোয়ারা বেগমের ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙে গেল রহমতের। খ্যাঁক করে উঠল রহমত,’আহ! এত ফাড়ান দাও ক্যান, আমি কি করুম? ডাকতাসে তো কি কোলে নিয়া বইস্যা থাকুম। হালা কুথাও এট্টুকুন বিছ্রাম নেই। কাজের জাগায় মালিকের হালুম হুলুম ঘরে বিবির বজবজ।ঘুমাও না ক্যান? আরও পড়ুন…

kobor

কবর

রাতে বিছানায় শুয়ে মাথা মুখ ঢেকে নিই চাদরে, যেন কবরের ভেতরে মাটি পড়ল ঝুপ করে, তারপর অনন্ত অন্ধকার নেমে আসে আর যাবতীয় চাতুরী, আলো আঁধারি সব চলতে থাকে ওপরে, নিশাচর প্রাণীর নখের শব্দে শিরশির করে শরীর। অতীত ঢুকে পড়ে হুড়মুড়িয়ে, গণিত-হিসেব কত হয়রানি, টেনে নিই চাদর মাথা মুড়িয়ে দেওয়ালের গায়ে আরও পড়ুন…

diary

ডায়েরি

আর কখনও জ্বর, কোনও জ্বর আসবে না পুড়ে যাচ্ছি বিষণ্ণ বিকেল থেকে আর কত তাপ মেখে নেব স্মৃতির উঠোনগুলো ছিদ্র ছিদ্র আলো দিত বলে সমস্ত শকুন-ডানা ঢেকে দেয় সূক্ষ্মতর শ্বাস বাঁচার তাগিদ সব এলোমেলো ছটফটে দৃশ্যই যেন দু’তিনটে চোখের পলক ব্রেক কষে রেখে যায় ছাপ এমন প্রপাত! রং গলে গলে আরও পড়ুন…

ek guccho kobita

একগুছ কবিতা

কাহ্নর হাড় অনিদ্রার বীর্যদাগ সাদা পৃষ্ঠায় আয় আয় অক্ষরকাম গুটি গুটি পায় নগ্ন হয়ে হাঁটি আর নগ্নতাকে চাটি চাটিল কেন তুলে ধরে ভিখারির বাটি কাদামনে লালারক্তঘামহিংসাক্লেদ কাব্যের কঙ্কালে শুধু জমা হয় মেদ বেদনার ছুরিকা অনিদ্রায় বাড়ে কায়া তরুবর কাহ্নের হাড়ে ঈভ অতিপ্রাচীন এক গুহায় বসে জটপড়া মাথার এক সন্ন্যাসীর সাথে আরও পড়ুন…