podda krishnendu

পদ্মা পাড়ের গল্প

গত পনের বছর ধরে বিশেষ প্রয়োজনে মাঝে মাঝে মুর্শিদাবাদ যেতে হয় আমাকে । যখনই মুর্শিদাবাদ যাই, সময় সুযোগ হলে একবার পদ্মার ধার থেকে ঘুরে আসি । জায়গাটার নাম খাদুয়া । লালগোলা থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে ৷ এক সময় এই নামে একটা গ্রাম ছিল এখানে ৷ এখন নদীগর্ভে | রয়েগেছে শুধু আরও পড়ুন…

muhurto debajit

মুহুর্তের পরিভাষা

আলোকচিত্র বোধ হয় এমন একটি মাধ্যম যেখানে সৃষ্টি করা যায় একটি সমান্তরাল পৃথিবী। অভ্যস্ত বাস্তবের সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে এসে, কখনো চলমান সময় কে থামিয়ে দিয়ে, একটু সাজিয়ে নেওয়া কিম্বা থেমে যাওয়া কোন মুহূর্তকে একটু গতি প্রদান করা– এই রকম অনেক কিছু করার সহজলভ্য স্বাধীনতা বোধ হয় আলোকচিত্রই দিতে পারে। সময়ের আরও পড়ুন…

vromon tushar

রাবাংলা – রালং – বোরং

পথে এবার নামো সাথী…..  বাঁশ ইদানিং আমাদের নিত্যসঙ্গী। ট্রামেবাসে, অফিসে আদালতে , স্কুলে, রাস্তায়, মাঠে ময়দানে বাঁশ দেওয়াতে  সিদ্ধহস্ত বাঙ্গালী। তাই কটা দিন বরং বাঁশহীন জীবনের আশায় এত ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে দক্ষিন সিকিমের উত্তর দিশায় বোরং। শিলিগুড়ি থেকে সিংতাম – রাবাংলা পেরিয়েই বোরং- পালক গ্রাম। কিন্তু এখানে এসেও সেই বাঁশ। আরও পড়ুন…

ek kap cha joydip

এক মুঠো জোনাকী আর রাত রঙা চা

একটা নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে ছোট্ট বৃত্তগুলো ছড়িয়ে যাচ্ছিল। একটা ক্ষীণ মৃদু আন্দোলন। ট্রেন গেলে এমন হয়। স্টেশনের পাশেই চায়ের দোকান। কাঠের বেঞ্চে চায়ের গ্লাস রাখলে শব্দ-তরঙ্গের এমন পরীক্ষা-পর্যবেক্ষণ করা যায়। কাঁচের গ্লাস, না ভাঙলেই হ’ল। মাটির ভাঁড় পেলে ভাল, না পেলে কাঁচের গ্লাস। পরিচিত দোকান, আমার অত ছুঁতমার্গ নেই। গোকুলদার দোকানে আরও পড়ুন…

buker vetor cha dokan

বুকের ভেতর যে চা-দোকান

দোকানির গেঞ্জিতে চে’র মুখ আঁকা  ছাল ওঠা কেটলি ফেটে তুলো উড়ে উড়ে যায় কড়া পড়া হাত এগিয়ে দেয় কৃষ্ণগহ্বর ধোঁয়াময় ভাঁড় পড়ে থাকে অনাদরে এখানে দাম মিটিয়ে উঠে যায় সবাই। চা দোকানের এমনই কোন এক বেঞ্চে-  তোমার নাম লিখে আসে কিশোর কবি। স্বর্ণ রেখায় খোদাই করা আত্মরতি একপ্রস্থ পাথর দিয়ে আরও পড়ুন…

moner mukul

মনের মুকুল

দু’ কাপ চায়ে হারিয়ে যাবো অন্য কোথা ।সাগর জলে ডুবিয়ে দেবে বালিয়াড়ি,ঘোর নিশীথে চাঁদটা এলে বলবো তোকে,আয়না কাছে হোকনা ওরে ছেঁড়াশাড়ি।। হা-ভাতের কি চাঁদ ওঠেনা ভাঙ্গা ঘরে!দেখলে তোকে তখন দেখি চাঁদের জ্যোতি,থাকনা ঘরে নোংরা কাঁথা মেঝেয় পাতা,ধনী গরীব মনের রোগে একই গতি।। নাই থাকনা দামী আতর বিদেশী বাস।কাপটা নিয়ে বাসনা আরও পড়ুন…

sokaler chaa

সকালের চা

” এক কাপ চা দেবে বৌমা ?” সকাল থেকে প্রায় বার পাঁচেক কথাটা উচ্চারণ করল শিবশংকর। ঘড়িতে এখন ন’টা কুড়ি। সকালের চা খাওয়ার সময় যদিও অনেকটাই পেরিয়ে গেছে কিন্তু তবুও শিবশংকরের এটা প্রথম চা। তাই আশা ছাড়ে নি। একমাত্র ছেলের বৌ শমিতা যতবার তার ঘরের সামনে দিয়ে যাচ্ছে ততবারই সে একবার আরও পড়ুন…