shoishob chandrani

শৈশব

একটা পুরোনো রোদের ভাষা ক্রমাগত বয়ে যাচ্ছে আমার চোখে হাতের আঙুলে, তাকে লিখতে পাব না জেনেও কাটিয়ে দিচ্ছি দিন ফেলে আসা রোদ্দুর, চেনা রাস্তাঘাট, আবছায়া নদীর পাড়, ঘুম আর স্মৃতি বিস্মৃতির তোরঙ্গে শুয়ে থাকা পুরোনো গরম কাপড়ের সাথে দমকে ওঠা আশ্চর্য হাসির গন্ধ ; এই কাহিনীগুলোই ক্রমশঃ হেলে হেলে সরে আরও পড়ুন…

shoishob sohor

শৈশব জীবনের একটা ছোট্ট শহর

জন্মের নিঃশ্বাস ও বিরতির ভাঁজে লুকিয়ে থাকে শৈশব , শৈশব জীবনের একটা ছোট্ট শহর যেখানে ঈশ্বর থাকে । ঈশ্বর যে কোন মায়ের কাছে প্রাক্তন , কিন্তু শৈশবের পাশে শৈশব এক ঈশ্বর ! কতগুলো ফুল ফুটে ওঠে শৈশবের মনের দরজায় কতগুলো চাহিদা প্রকাশ পায় শৈশবের প্রকৃত ঠোঁটে , একটা সম্পর্কের আঁতুড়ঘর আরও পড়ুন…

cover shoishob

বিষয় ভিত্তিক সংখ্যাঃ শৈশব

সম্পাদকীয়১. সম্পাদকের কলমে – শুভদীপ আইচ স্মরণিকা১. চলে গেলেন কলকাতার যীশু – দেবজিৎ সাহা ছড়া১. টুকি – ডা. নীলাদ্রি বিশ্বাস গুচ্ছ কবিতা১. শৈশব – সাগর শর্মা কবিতা১. রোদ্দুরবেলা – রাজর্ষি দে২. শৈশব জীবনের একটা ছোট্ট শহর – পবন বর্মন৩. শিশু – সোমনাথ বেনিয়া৪. প্রান্তিক – অনিমেষ সরকার৫. স্মৃতিচারণ – দযা়ময় আরও পড়ুন…

sompadokio

সম্পাদকের কলমে

” আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙা ২১ শে ফেব্রুয়ারি , আমি কি ভুলতে পারি ” … আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে একঝাঁক পায়রার মুক্ত আকাশে উড়ে যাওয়ার দিন । নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন বুনে চলা মাতৃভাষাকে সঙ্গী করে, যা কিছু পুরাতন তাকে পিছনে ফেলে নতুনভাবে এগিয়ে চলার আরও পড়ুন…

jhorapata 2

ঝরাপাতা

“ঝরাপাতা গো, ঝরাপাতা আমি তোমারই দলে, ঝরাপাতা …” গুনগুন করে গাইত মা,ভরসন্ধের উঠোনে বিছিয়ে পড়ে থাকা শুকনো খসখসে নির্জীব পাতাগুলোর দিকে তাকিয়ে।খুব যে সুরে গাইত তা যদিও নয়! তবু কিছু বেসুরো কলি আমাদের নিভাঁজ পরিপাটি জীবনের চৌহদ্দিতে এতোলবেতোল হাওয়া ডেকে আনতো প্রায়শই।আমরা পড়া ফেলে হাঁ করে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আরও পড়ুন…

shoishob sagarsharma

শৈশব

০১. বেলুন ফাটানো দিনে শৈশব কেঁদে ওঠে সবার প্রযুক্তি এত নৈকট্য এনেছে— অথচ তুমি সেই আগের মতোই রয়ে গেলে একেবারেই একা। মাঝে সেতু আর হলোই না সেতুর ওপারে নেই, এপারে নেই আমার তো আজন্ম তোমার কাছেই যাওয়া কেন এত ধীর বালিকা নীরবে সব সয়ে যাও! জানি, দুঃখ কিছু তোমারও আছে— আরও পড়ুন…

swapno jibon barud

স্বপ্ন জীবন ও বারুদ

বিশু আজ আমাদের সকলকে শৈশবের ঘটনা বলছে, বন্যা এসেছে। আমাদের তখন মাটির দোতলা বাড়ি। কাকিমা রান্না সেরে নিচ্ছেন। বন্যার ঢেউ মাটির দেওয়ালে ধাক্কা মারছে। মাটির দেওয়াল জলের ধাক্কায় পরে গেলো। মা কান্নাকাটি শুরু করলেন। বললেন,কত কষ্ট করে এই বাড়ি হয়েছে। আর হবে না আমার বাড়ি। কাকু বললেন,চলে এসো পাকা বাড়িতে। আরও পড়ুন…

amar valo khaoar din

আমার ভাল খাওয়ার দিন

হেমন্তের এক সকাল । পাকা ধান উঠেছে বাড়িতে । ধান মাড়ানোর জন্যে চারজন লোক (কামলা ) ঠিক করেছেন ছোটমামা । তারা সকাল সকাল এসে কাজ শুরু করেছেন । তাদের এবং আমাদের সকলের খাবার জন্যে রুটি বেলছেন মাসি । আমি চুলোতে গুঁজে দিচ্ছি শুকনো লতাপাতা, ডালখড়ি । একটা ক’রে রুটি বেলে আরও পড়ুন…

vogobaner bari

“ভগবানের বাড়ি” ও দুই ভগবান

পাশের পাড়া থেকে এক দাদু আসতেন মামার বাড়ি । অন্ধ । চোখদুটোর দিকে তাকিয়ে দেখেছি , মণিদুটো সাদা । বোধ হয় ছানি পড়েছিল কোন একসময় , অপারেশন করা হয়নি । হয়তো সামর্থ্য ছিল না বলেই । কোমর সমান উঁচু একটা লাঠি নিয়ে ঠক ঠক ক’রে রাস্তা বুঝে তিনি ঘুরে বেড়াতেন আরও পড়ুন…