নিছক ভূতের গল্প নয়

শুভ্রদীপ চৌধুরী on

জগদীশ সরখেল বিরক্ত মুখে প্রুফ দেখছেন।লেখাটি তার,নাম ‘দাম্পত্য ঝগড়া থামানোর সহজ উপায়’। তার এই বইটি আসতে চলেছে সামনের বইমেলায়,আর মাত্র একমাস পর।প্রকাশক অম্লান পুততুন্ড এককথায় তাকে জোর করে লিখিয়েছে।তার বিশ্বাস অন্য এগারোটা বইয়ের মত এটাও হটকেক হবে।তাই আগে থেকে কিছু না বলে, একটা নির্জন সমুদ্র সৈকতে পাঠিয়েছে।হাতে যাতায়াতের টিকিট,হোটেল বুকিং এর কাগজ পত্র  তুলে দিয়ে বলেছে, আপনাকে চমকে দেব বলে আগে বলিনি,যান চমৎকার পরিবেশে বইটির প্রুফ দেখা শেষ করে আসুন।
জগদীশ বাবু অনেক বার না, না করেছেন,মেস বাড়িতেই দেখে নেব বলেছেন।অম্লান পুততুন্ড এসব কথা আমল দেননি।
অগত্যা আসতে হয়েছে।

আজ দ্বিতীয় রাত।সন্ধে হলেই এখানে ঘন্টা তিনেক শব্দ করে জেনারেটর চলে।তারপর নেমে আসে অন্ধকার।তার ঘরে হোটেল থেকে দিয়েগেছে  একটা চার্জার টেবিল ল্যাম্প,সেটার চার্জ এখন কমে এসেছে।অল্প আলোয় তিনি প্রুফ দেখছেন।নিজের লেখা পড়তে পড়তে অবাক হচ্ছেন,এ সব তিনি লিখেছেন কেমন করে!যেমন জোরালো যুক্তি তেমন বিশ্লেষণ।

বাথরুমে টিপটিপ করে জল পড়ার বিরক্তিকর শব্দ আসছে।প্রুফ দেখা বন্ধ করতেই চার্জার নিভে গেল।অন্ধকার যেন এর অপেক্ষায় ছিল।আলো নিভতেই ঝাঁপিয়ে সারা ঘরের দখল নিয়ে নিল।তিনি নিজে একসময় ছিলেন চেইন স্মোকার,’সিগারেট ছাড়ার সহজ উপায়’ বইটি প্রকাশের পর দুম করে সিগারেট ছেড়ে দিলেন, নয়ত পকেটে লাইটার থাকত।                 
                                                                গতকাল সকাল ন’টা দশে দ্য ব্লু মুন নামের এই সস্তা হোটেলটায় এসে তিনি উঠেছেন।আশ্চর্য জনক ঘটনা হল তার রুম নম্বর ছয় বাদ দিয়ে সব ঘর বন্ধ।রিসেপশনের বসা ছেলেটি চড়া শব্দে হিন্দি সিনেমা দেখছিল।সামনে দাঁড়াতেই বলল, জগদীশ সরখেল,কলকাতা থেকে আসছেন, তাইতো?
— হুম।
–এখানে সই সাবুুদ করে ছয় নম্বর রুমে চলে যান।দুপুরের খাবার বাইরে খাবেন, রাতে রুটি খেলে বলে দিন।ঘরে দিয়ে যাবে।
এই নভেম্বরের শেষে হোটেল ফাঁকা কেন এই চিন্তা তার মাথার ভেতরে ঘুরঘুর করেছিল, তবু কথাটা বলা ঠিক হবে কিনা ভেবে খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে বলেছিলেন,  রাতে রুটি খাবো। দু’টো রুটি আর সবজি হলেই চলবে।

একচিলতে ঘরটায় একটা বক্সখাট আর সামনে মাঝারি একটা জানলার পাশে চেয়ার টেবিল।যদিও এই জানলা দিয়ে সমুদ্র দেখা যাবে না।জানালার সামনে  একটা দেওয়াল।।ঘরটা তার কেমন চেনা জানা মনে হয়েছিল। যদিও এই সমুদ্র সৈকতে তিনি প্রথম এলেন! ঘর লাগোয়া ছোট্ট বাথরুম। স্নান করতে গিয়ে অবাক হলেন, যতটা সাধারণ ভেবেছিলেন বাথরুমটা তার চেয়ে অনেক ভাল।
দুপুরে অম্লান পুততুন্ড ফোন করল, “পৌঁছেছেন খবর পেয়েছি।কোনো সমস্যা হলে জানাবেন।বিশু নামের একটি ছেলে আপনার কাছে যাবে। ওর মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন।ছেলেটি বেশ কাজের।”
বিশু এসেছিল ঘন্টা দু’য়েক পর।বছর কুড়ি বাইশের লম্বা ছিপছিপে ছেলেটি তার জন্য রিসেপশনে এসে বসেছিল। 
” তুমিই নিশ্চয় বিশু?”
“হুম,অম্লান স্যার আমায় পাঠিয়েছে। আজ কাছেপিঠে কোথাও যাবেন?”
“না,ঘরেই থাকব।”
” স্যার, আমার মোবাইল নম্বর আপনাকে দিতে বলেছিল যাতে যে কোনো দরকারে ডেকে নিতে পারেন।”
মোবাইল নম্বর দেবার পর আর সে এক মিনিটও বসেনি।কাজ আছে বলে বেরিয়ে গেছে।দুপুরে
‘মোহনা’বলে  ছোট্ট একটা কাছের হোটেলে খেয়ে এলেন। বিকেলে চা খেতে গিয়ে যা  শুনলেন তাতে তিনি যথেষ্ট ভয় পেলেন।চা খেয়ে বিল মিটিয়ে ফেরার সময়কার ঘটনা,একটা লোক তার পিছু নিল। ছোট্ট বাজারটা পার হতেই লোকটা চাপা গলায় পেছন থেকে ডাকল, “শুনছেন?”
তিনি মুখ ঘুরিয়ে চিনতে পারলেন লোকটাকে। একটু আগে চায়ের দোকানে বসে তার দিকে বারবার তাকাচ্ছিল।
জগদীশবাবু বললেন, “আমায় বলছেন?”
–“হুম।আপনি ছাড়া আর কাউকে এই মূহুর্তে  ডাকার প্রয়োজন নেই আমার।”
— “মানে, আপনি আমায় চেনেন?”
— “চিনি না, তবে চেনাজানা হতে সময় লাগবে না। আগে বলুন আপনি কি সত্যি সত্যি ব্লু মুনে উঠেছেন?”
— “হুম।”
— “কেন?”
— “আপনি নিশ্চয় পুলিশের লোক! আমি একজন সাংবাদিক।আমায় সত্যিটা বলতে পারেন।”
—-“আমি পুলিশের লোক হতে যাব কেন?”
— “কেন মিথ্যে কথা বলছেন! বারো দিন আগে আপনার মত মিথ্যে কথা বলে একজন চলে গেল।পরদিন সকালে আমি খোঁজ করতে গিয়ে শুনি লোকটা মারা গেছে।রুম নম্বর সিক্সের দরজাটা তখনও হাট করে খোলা তার সামনের বারান্দায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল লোকটা।মুখের উপরে মাছি ভ্যানভ্যান করছিল। তারপর পুলিশ এল।বডি নিয়ে গেল।আগের কয়েকটা কেসের মত এটাও চাপা পড়ে গেল!”
জগদীশবাবু এবার সত্যি সত্যিই ভয় পেলেন।ভয়ের কারণ  রুম নম্বর ছয়। তিনি মিনমিন করে বললেন,” একটু খুলে বলবেন বিষয়টা।  আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।”
লোকটা তার কাছে আরও একটু সরে এসে দাঁড়াল তারপর খুব গোপন কথার মত ফিসফিসিয়ে বলল, “ছয় নম্বর ঘরে গন্ডগোল আছে। এঅব্দি চারজন মানুষ ওই ঘরে মারা গেছে। একটাও সুইসাইড কেস নয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, স্রেফ হার্ট অ্যাটাক।সবটা শুনতে চাইলে চলুন ফাঁকা জায়গা দেখে কোথাও বসি।শুনবেন ?”
জগদীশ বাবু মাথা ঝাঁকিয়ে বোঝালেন,  শুনবেন,খুব শুনবেন।ভেতরে ভেতরে তিনি ছটফট করছিলেন ।
দুজনে গিয়ে বসলেন সমুদ্রের কাছে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটা দোকানের বাঁশের মাচায়। সূর্য তখন রঙ বিলিয়ে নিঃস্ব হয়ে ডুবছে।
” আমার নাম, সুখবিলাস শর্মা, দৈনিক প্রতিক্ষণে ‘র একজন সাংবাদিক।বিষয়টা নিয়ে আমি দু’বার খবর করেছি। কেটেছেটে যা ছাপা হয়েছে তাতে আপনার চোখে পড়ার মত নয়। যদিও আমি জানি এর পেছনে বড় একটা রহস্য আছে। আমি লেগে পড়লাম রহস্যের খোঁজে।প্রতিদিন এই তল্লাটে  টহল দিই। কান পেতে থাকি,  যদি কিছু ক্লু পাই। শুরু থেকে বলি, আজ থেকে চারমাস দুই দিন আগে একজন মাঝবয়সী ভদ্রলোক এসে ওঠেন ওই ঘরে।তিনি দু’দিন বেশ ঘুরলেন ফিরলেন।তার হোটেল ছাড়ার কথা ছিল চতুর্থ দিন সকালে তার আগের রাতেই ঘটল সেই ভয়ংকর ঘটনা।পরদিন আমি নিজে চোখে দেখেছি বাথরুমের মেঝেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছেন তিনি। চোখেমুখে প্রচণ্ড ভয়ের ছাপ।
পরের ঘটনা মাস খানেক পর।এবারের মানুষটি বয়স্ক।পড়েছিলেন দরজার বন্ধ দরজার পাশে।চোখ খোলা আর  বিস্ফারিত চোখ।দরজা আগের বারের মত বন্ধ ছিল। এই ঘটনার পর হোটেল বন্ধ থাকে তিনদিন।আবার চালু হয়।শুধু ছয় নম্বর রুম বন্ধ থাকে। এর পর পর ঘটে সেই অদ্ভুত ঘটনা।ছয় নম্বর ঘর আবার খুলে দেওয়া হয়।বেশ কয়েকদিন ভালই চলছিল। চারদিকে ছয় নম্বর ঘরের কথা যখন মিইয়ে এসেছে সে সময় জোর করে ওই ঘরে থাকতে চায় এক দম্পতি। ফল ভাল হয় না।দুটো রাত ভাল ভাবে কাটার পর ওরা যখন ছয় নম্বর ঘরের অস্বাভাবিক ঘটনাকে  নিছক কাকতালিয় কিংবা রটনা বলে  জনে জনে বলে বেড়াতে লাগল।এর পরই হল সেই ঘটনা, সময় সন্ধ্যা।  ছেলেটি বেরিয়েছিল একটু। ফিরে এসে বার কয়েক দরজা ধাক্কিয়ে সে ভাবে নিশ্চয় মেয়েটি তাকে ঘাবড়ে দেবার জন্য ইচ্ছে করে দরজা খুলছে না। প্রায় আধাঘন্টা বাদে ছেলেটির মুখ থমথমে হয়ে যায়।চিৎকার করে ওঠে,”প্লিজ দরজা ভাঙুন। “
— “তারপর”?
—“মেয়েটিকে খাটের এক কোনায় জড়সড় হয়ে মাথা ঢেকে বসে থাকতে দেখায়ায়। যেন খুব ভয়ে সে মুখ ঢেকেছে।”
—- “বেঁচে ছিল?”
—“না। এইতো দিন বারো আগে একজন মারা যায় যার কথা আমি আপনাকে প্রথম বলেছি। লোকটা আমার কথা শুনলে বেঁচে যেত।”কথা শেষ করে সুখবিলাস একটু থামল। চারদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে।হোটেলে ফেরার পথটাও  অন্ধকারে মিশে গেছে। ভয়ে জগদীশ বাবুর গলা শুকিয়ে এল। ফ্যাসফ্যাসে গলায় তিনি বললেন, “আমি সেই ছয় নম্বর ঘরেই উঠেছি।”
— “আমি জানি।”
— “এবার কি করব আমি?”
—” অন্য কোথাও থাকুন,  ওই ঘরে নয়।চলি, আমাকে অনেকটা দূর যেতে হবে।চলুন আপনাকে হোটেল অব্দি এগিয়ে দিয়ে যাই। “

হোটেলের খানিকটা সামনে এসে সুখবিলাস চাপা গলায় বলল, “দয়া করে এসব কথা       হোটেলের কাওকে বলবেন না। ঘর বদল করুন।বেঁচে যাবেন।”
সুখবিলাস চলে গেল।
হোটেলে ঢুকতেই রিসেপশনে বসা ছেলেটি বলল,” আপনার সংগে দেখা করতে বিশুবাবু এসেছিলেন।বলেছেন কল করে নিতে।”

রিসেপশন থেকে খানিকটা দূরে সরে এসে ফোনে ধরলেন বিশুকে। চাপা গলায় বললেন, “একটা কথা শুনলাম,এই হোটেলের ছয় নম্বর ঘরে নাকি সমস্যা আছে।”
ফোনের ওপারে হো হো করে হেসে উঠল বিশু, চায়ের দোকানে খবর পেয়েছি আপনাকে পাগল সুখবিলাস ধরেছে।তখনই বুঝেছি। তা সুখবিলাস নিজেকে এবার কি পরিচয় দিল, পুলিশের লোক না সাংবাদিক!”
—- “সাংবাদিক”।
—“আপনি মশাই এত বিচক্ষণ, এত বিখ্যাত একজন মানুষ হয়ে ওর কথা বিশ্বাস করলেন! আপনার ‘ভয় কে করুন জয়’ বইটি আমার পড়া। দারুণ বই।সেই আপনি কিনা এক পাগলের কথা বিশ্বাস করলেন!”

— “এসব সত্যি নয়?”
— “মোটেই নয়।”

বিশুর সংগে কথা বলার পর অনেকটা সাহস ফিরে পেলেন। এমন কি দুম করে ভয় পেয়েছেন বলে লজ্জিত মুখে রিসেপশনের ছেলেটির সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন রাতের খাবারের কথাটা মনে করিয়ে দিতে। ছেলেটি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে টিভির দিকে। তার কথা শুনল বলে মনে হল,মাথা নাড়ল। 
ছয় নম্বর রুমের দিকে এগিয়ে যেতে দেখলেন তিন ও চার নম্বর রুমে আলো জ্বলছে। মানে তিনি আর একা নন।একটু আগের ভয় সম্পূর্ণ বিদেয় নিয়েছে। ঘরে ঢুকতেই,দরজায় ঠকঠক। রিসেপশনের ছেলেটি একহাতে জলের বোতল অন্য হাতে একটা চার্জার ল্যাম্প নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।জেনারেটর বন্ধ হবার পর সেই চার্জারটাই এখন নিভে গেল।
একটু আগেও রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে বেশ খোশমেজাজেই প্রুফ দেখছিলেন।দুম করে ঘর অন্ধকার হতেই সুখবিলাসের গল্প মনে এল। সংগে সংগে ভয়ে কুঁকড়ে গেলেন।অন্ধকারে টর্চ খুঁজতে লাগলেন। টেবিল হাতড়ে দেখলেন নেই।তবে বিছানায়, বালিশের পাশে! মনেমনে ভাবতে লাগলেন, কোথায় যে রেখেছি,কোথায় রেখেছি?
তাকে চমকে দিয়ে কে যেন বলে উঠল, টেবিলেই আছে। গলাটা মেয়ের,খুব চেনা চেনা। ভয়ে কেঁপে উঠলেন।এমন ভয় তিনি জীবনে পাননি।দেওয়াল ঘড়ি থেকে টিক টিক আওয়াজ আসছে শুধু।
‘টেবিলে বইয়ের ফাঁকে ত শুইয়ে রেখেছেন,দেখুন।’
দ্রুত দরজা খুলে বেরিয়ে যাবেন ভাবলেন।পা যেন অবশ হয়ে গেছে।
মহিলা কন্ঠ আবার বলল, আপনি অযথা ভয় পাচ্ছেন! চুপ করে বসুন।একটু সামলে নিন।তারপর কথা বলব আমরা।দুম করে দৌড়ে দরজা খুলে বাইরে যেতে গিয়েই তো দু’জন মারা গেলেন। একজন দরজার ছিটকিনি খুলতে গিয়ে এমন হড়বড় করলেন যে  চৌকাঠেই মুখথুবড়ে পড়লেন।তবে মেয়েটি বেশ সাহসী ছিল।ও আমার দিকে অনেকক্ষণ হাঁ করে তাকিয়েছিল।আমি যখন একবারে ওর সামনে গেলাম ততক্ষনে সে দুই হাঁটুর মাঝে মুখ লুকিয়ে ফেলেছে। আমি বললাম, এই, এই মেয়ে… মুখ তোল, আমায় দ্যাখো,আমার গল্পটা শোনো।সে আর মুখ তুলল না,কারণ ততক্ষণে সে আর বেঁচে ছিল না। তাই বলছি আলো জ্বালানোর চেয়ে চুপ করে বসুন,গল্প করি।বসুন।
জগদীশ বাবু এবার টর্চটা খুঁজে পেলেন। টর্চ নয় যেন সাহস! টর্চের আলো ফেলে এক্ষুণি সারা ঘর দেখতে পারেন তবু চুপ করে বসে থাকলেন।
কালো বেড়ালের মত মিশমিশে অন্ধকারে কে যেন পা টেনে টেনে হাঁটছে আর চাপা গলায় হাসছে।
আবার কথা ভেসে এল,”আমি একটা গল্প বলতে চাই। আমার গল্প।কেউ শোনেনি, শোনে না।আসল বিষয়টা হল, অন্যদের কোনও কথাই আমরা মন দিয়ে শুনি না, মনে করি তারা একঘেয়ে,বিরক্তিকর,  কিন্তু আপনি যদি আমার গল্পটা মন দিয়ে, গুরুত্ব দিয়ে শুনতেন,তাহলেই বুঝতে পারতেন আমার না বলা গল্পটা কত আকর্ষণীয়।তবু দেখুন আপনার মত মানুষ টর্চ জ্বালিয়ে দেখে নিতে চান কে কথাটা বলছে। যেন গল্পটা বড় কথা নয়, বড়কথা কে বলছে!”
জগদীশ বাবু বুঝতে পারছেন একটা অদ্ভুত গল্প বলতে বলতে ধীরেধীরে তার গায়ে অন্ধকার মাখিয়ে দিচ্ছে কেউ। আলতো করে ডান হাতটা অন্ধকারে মিশে গেল। বাঁ হাত গেল।পা যাচ্ছে। টর্চ গড়াচ্ছে মেঝেয়।এবার বুক মিশছে, গলা মিশছে,কষ্ট বাড়ছে।তবু তিনি প্রাণপনে চোখখুলে রাখলেন।
পরদিন দশটার দিকে আবার রুম নম্বর ছয়ের দরজা ভাঙতে হল।

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দিয়ে মন্তব্য করুন


শুভ্রদীপ চৌধুরী

শুভ্রদীপ চৌধুরীর জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৮৩। গ্রামের নাম ইদ্রাকপুর। বাংলাসাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা। প্রথম গল্প প্রকাশ ২০০৪ সালে। বিভিন্ন সংবাদপত্র ও পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা সূত্রে বালুরঘাটে থাকেন। অক্ষরে আঁকেন গল্প। লেখকের কথায়, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যা শেখায়, "যা মনে করায় তার প্রতিচ্ছবিই আমার লেখা"। যোগাযোগঃ subhradip.choudhury@gmail.com

1 Comment

Joydip Chatterjee · ডিসেম্বর 17, 2018 at 10:57 অপরাহ্ন

পড়লাম, শেষ মুহূর্ত অবধি টানটান!

মন্তব্য করুন

Avatar placeholder

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।